ভূমিকাঃ পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নগর রাষ্ট্র বা রাষ্ট্র, নাগরিকের জীবন সব কিছু নিয়ে আলোচনা করে। নাগরিকের মর্যাদা, অতীত বর্তমান, ভবিষ্যৎ জাতীয়, আইন সাম্য, স্বাধীনতা, নীতি নৈতিকতা আদর্শ ইত্যাদি সকল দিক এর অন্তর্ভূক্ত। পরিধির বিস্তৃতি এ বিষয়টিকে অনন্য করেছে। আধুনিক নাগরিক তৈরির লক্ষ্যে পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ে আরও নতুন নতুন অনেক বিষয় যোগ হচ্ছে।
আইনের শ্রেণিবিভাগ (Classification of Law): আইনজ্ঞ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানিগণ বিভিন্নভাবে আইনের শ্রেণিবিভাগ করেছেন।
কাজের পরিধি এবং ধরনের ভিত্তিতে অধ্যাপক হল্যান্ড আইনকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করেছেন; যথাঃ
(ক) জাতীয় আইন (Municipal Law) এবং
(খ) আন্তর্জাতিক আইন (International Law)।
জাতীয় আইনকে আবার তিনি দু'ভাগে ভাগ করেছেন। যথাঃ
(ক) সরকারি আইন (Public Law) এবং
(খ) বেসরকারি বা ব্যক্তিগত আইন (Private Law)।
সরকারি আইনকে তিনি আবার তিনভাগে বিভক্ত করেছেন, যথাঃ
(ক) সাংবিধানিক আইন (Constitutional Law),
(খ) প্রশাসনিক বা শাসনসংক্রান্ত আইন (Administrative Law) এবং
(গ) ফৌজদারি আইন (Criminal Law)।
অধ্যাপক ম্যাকাইভার প্রশাসনিক বা শাসনসংক্রান্ত আইনকে সরকারি আইনের পর্যায়ভুক্ত করেছেন। তবে তিনি সাংবিধানিক বা শাসনতান্ত্রিক আইনকে সরকারি আইন বলে স্বীকার করেননি।
জাতীয় আইন (Municipal Law): জাতীয় আইন হচ্ছে সেসব আইন যা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সার্বভৌম শক্তি কর্তৃ প্রয়োগ ও কার্যকর হয়। জাতীয় আইন সরকারি কিংবা বেসরকারি দু'রকমের হতে পারে।
আন্তর্জাতিক আইন (International Law): যে আইনের দ্বারা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারিত হয় তা হচ্ছে আন্তর্জাতিক আইন।
সাংবিধানিক বা শাসনতান্ত্রিক আইন (Constitutional Law): যে নীতিগুলোর ওপর ভিত্তি করে সরকার গঠিত ও পরিচালিত হয় তাকে সাংবিধানিক আইন বলে। এই আইন দ্বারা সরকার গঠন, ক্ষমতা বণ্টন, ক্ষমতা প্রয়োগ ও সীমারেখা নির্ধারিত হয় । শাসনতান্ত্রিক আইন লিখিত এবং অলিখিত-দু প্রকারের হতে পারে।
প্রশাসনিক আইন (Administrative Law): ব্যক্তি এবং শাসন কর্তৃপক্ষের সম্পর্ক নির্ধারণকারী আইনই হচ্ছে শাসন সংক্রান্ত আইন। এই আইন রাষ্ট্রের ভিত্তিস্বরূপ। শাসন সংক্রান্ত আইন শাসন বিভাগের গঠন ক্ষমতার পরিধি নির্ধারণ করে এবং ব্যক্তিগত অধিকার ভঙ্গের বেলায় প্রতিকার নির্দেশ করে।
ফৌজদারি আইন (Criminal Law): সমাজে আইন-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, নাগরিক জীবনে নিরাপত্তা বিধান এবং অপরাধীকে দণ্ড দেয়ার জন্য প্রণীত আইনকে ফৌজদারি আইন বলে।
উপসংহারঃ আইন না মেনে চললে সমাজে পুনরায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। মানুষ আইন মেনে চলে, কেননা তা রাষ্ট্র কর্তৃক সমর্থিত এবং প্রযুক্ত। আইন ভঙ্গ করলে অভিযুক্ত এবং শাস্তি পেতে হয়।
0 মন্তব্যসমূহ