What do you mean by Commission? For what purpose may the commission be issued?
উত্তরঃ (ক) কমিশনঃ আদালতের পক্ষে কতিপয় কাজ করার জন্য কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হলে তাকে কমিশন বলা হয়। যেমনঃ অক্ষমতার কারণে সাক্ষী আদালতে হাজির না হলে তার আবাসস্থলে গিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ, স্থানীয় তদন্ত, হিসাব-নিকাশ বা সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারার জন্য এরূপ নিয়োগ দেয়া যায়।
কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে আদালত কমিশনের আদেশ দিতে পারেনঃ দেওয়ানী কার্যবিধির ৭৫ ধারানুযায়ী পক্ষগণের আবেদনক্রমে আদালত তার স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতাবলে নিম্নলিখিত কাজের জন্য কমিশন নিয়োগ করতে পারেনঃ-
ক. স্বাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহনের জন্য;
খ. স্থানীয় তদন্ত করার জন্য;
গ. হিসাব পরীক্ষা ও সংশোধনের জন্য;
ঘ. সম্পত্তি বাঁটোয়ারা করার জন্য।
স্বাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণের জন্য কমিশনের নিয়মাবলী ২৬ নম্বর আদেশের ১ হতে ৮ নম্বর বিধিতে বর্ণিত আছে। আদালতের এখতিয়ারভূক্ত এলাকায় বসবাসকারী কোন ব্যক্তি ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হওয়া থেকে অব্যাহতি পেয়ে থাকলে অথবা অসুস্থ বা অচল হওয়ার দরুন আদালতে হাজির হতে অপারগ হলে প্রশ্নাবলীর মাধ্যমে বা অন্যভাবে উক্ত ব্যক্তির জবানবন্দী গ্রহণের জন্য আদালত যে কোন মামলায় কমিশন পাঠাতে পারেন। যে কোন ব্যক্তি কমিশনের কার্য সম্পাদন করতে সমর্থ বলে আদালত মনে করবেন, তাকেই কমিশন নিয়োগ করা যাবে। নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণের জবানবন্দী গ্রহণের জন্য আদালত কমিশন নিয়োগ করে থাকেনঃ
১. ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হওয়া থেকে যারা অব্যাহতি পান— যেমন, বাংলাদেশের রাষ্টপ্রতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, জাতীয় সংসদের স্পীকার এবং সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিগণ;
২. যে কোন মহিলা, যিনি সাধারণ রীতি ও প্রথা অনুযায়ী জনসাধারণের সামনে উপস্থিত হন না;
৩. অসুস্থতা বা দুর্বলতার জন্য যে ব্যক্তি আদালতে হাজির হতে অসমর্থ;
৪. যে ব্যক্তি আদালত কর্তৃক জবানবন্দী গ্রহণের পূর্বেই আদালতের স্থানীয় এখতিয়ারের বাইরে যেতে উদ্যত হয়েছে;
৫. যে ব্যক্তি আদালতের স্থানীয় এখতিয়ারের আওতার বাইরে বসবাস করে; এবং
৬. সরকারী কাজে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি আদালতের মতে আদালতে হাজির হলে জনসাধারণের ক্ষতি হবার আশংকা থাকে।
এছাড়া আদালতের এখতিয়ার বহিভূর্ত ব্যক্তিকেও কমিশনে জবানবন্দী গ্রহণ করা যায়। স্থানীয় তদন্ত করার বিষয়ে কমিশনের নিয়মাবলী এই আদেশের ৯ ও ১০ বিধিতে বিবৃত আছে। এখানে বলা হয়েছে যে, কোন মামলায় আদালত যদি মনে করেন যে, নালিশী বিষয় সম্পর্কে সরেজমিনে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, তবে আদালত যাকে উপযুক্ত মনে করবেন তাকে কমিশনে পাঠাতে পারেন। কমিশনার সরেজমিনে তদন্ত শেষে একটি রিপোর্ট আদালতে পেশ করবেন এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষ তাঁকে জেরা করতে পারেন। এই রিপোর্ট মামলায় প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
হিসাব পরীক্ষার জন্য কমিশনের নিয়মাবলী এই আদেশের ১১ ও ১২ বিধিতে বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে যে, কোন মামলার হিসাবপত্র পরীক্ষা বা সংশোধনের প্রয়োজন হলে আদালত যাকে উপযুক্ত মনে করবেন তাকে কমিশনে পাঠায়ে উক্ত হিসাব পরীক্ষা বা সংশোধন করার নিদের্শ দিতে পারেন। কমিশনারের কার্যবিবরণী এবং রিপোর্ট মামলায় প্রমাণরূপে ব্যবহৃত হবে।
সম্পত্তি বাঁটোয়ারার জন্য কমিশনের নিয়মাবলী এই আদেশের ১৩ ও ১৪ নম্বর বিধিতে আছে। এই বিধিগুলি অনুযায়ী কোন ক্ষেত্রে যদি সম্পত্তি বাঁটোয়ারার জন্য প্রাথমিক ডিক্রী প্রদত্ত হয়ে থাকে, তবে আদালত সেক্ষেত্রে কমিশন পাঠায়ে প্রাথমিক ডিক্রীতে বর্ণিত স্বত্ব অনুসারে সম্পত্তিটি বাঁটোয়ারার নির্দেশ দিবেন। প্রয়োজনীয় তদন্ত অনুষ্ঠানের পর কমিশনার আদালতের আদেশ অনুসারে সম্পত্তিটি বণ্টন করবেন এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে তাদের নিজ নিজ অংশ চিহ্নিত করে দিবেন। বিভিন্ন অংশের মূল্যের সমতা সাধনের জন্য আদালত কর্তৃক ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে থাকলে কমিশনার সম্পত্তির মূল্যের তারতম্য নগদ টাকায় পরিশোধের নিদের্শ দিতে পারবেন। রিপোর্ট বিষয়ে পক্ষগণের কোন আপত্তি থাকলে আদালত তা বিবেচনা করতঃ কমিশনারের রিপোর্ট অনুমোদন বা সংশোধন করে চূড়ান্ত ডিক্রী প্রদান করবেন।
কমিশনের ক্ষেত্রসমূহঃ
কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে আদালত কমিশনের আদেশ দিতে পারেনঃ দেওয়ানী কার্যবিধির ৭৫ ধারানুযায়ী পক্ষগণের আবেদনক্রমে আদালত তার স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতাবলে নিম্নলিখিত কাজের জন্য কমিশন নিয়োগ করতে পারেনঃ-
ক. স্বাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহনের জন্য;
খ. স্থানীয় তদন্ত করার জন্য;
গ. হিসাব পরীক্ষা ও সংশোধনের জন্য;
ঘ. সম্পত্তি বাঁটোয়ারা করার জন্য।
স্বাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণের জন্য কমিশনের নিয়মাবলী ২৬ নম্বর আদেশের ১ হতে ৮ নম্বর বিধিতে বর্ণিত আছে। আদালতের এখতিয়ারভূক্ত এলাকায় বসবাসকারী কোন ব্যক্তি ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হওয়া থেকে অব্যাহতি পেয়ে থাকলে অথবা অসুস্থ বা অচল হওয়ার দরুন আদালতে হাজির হতে অপারগ হলে প্রশ্নাবলীর মাধ্যমে বা অন্যভাবে উক্ত ব্যক্তির জবানবন্দী গ্রহণের জন্য আদালত যে কোন মামলায় কমিশন পাঠাতে পারেন। যে কোন ব্যক্তি কমিশনের কার্য সম্পাদন করতে সমর্থ বলে আদালত মনে করবেন, তাকেই কমিশন নিয়োগ করা যাবে। নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণের জবানবন্দী গ্রহণের জন্য আদালত কমিশন নিয়োগ করে থাকেনঃ
১. ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হওয়া থেকে যারা অব্যাহতি পান— যেমন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, জাতীয় সংসদের স্পীকার এবং সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিগণ;
২. যে কোন মহিলা, যিনি সাধারণ রীতি ও প্রথা অনুযায়ী জনসাধারণের সামনে উপস্থিত হন না;
৩. অসুস্থতা বা দুর্বলতার জন্য যে ব্যক্তি আদালতে হাজির হতে অসমর্থ;
৪. যে ব্যক্তি আদালত কর্তৃক জবানবন্দী গ্রহণের পূর্বেই আদালতের স্থানীয় এখতিয়ারের বাইরে যেতে উদ্যত হয়েছে;
৫. যে ব্যক্তি আদালতের স্থানীয় এখতিয়ারের আওতার বাইরে বসবাস করে; এবং
৬. সরকারী কাজে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি আদালতের মতে আদালতে হাজির হলে জনসাধারণের ক্ষতি হবার আশংকা থাকে।
এছাড়া আদালতের এখতিয়ার বহিভূর্ত ব্যক্তিকেও কমিশনে জবানবন্দী গ্রহণ করা যায়। স্থানীয় তদন্ত করার বিষয়ে কমিশনের নিয়মাবলী এই আদেশের ৯ ও ১০ বিধিতে বিবৃত আছে। এখানে বলা হয়েছে যে, কোন মামলায় আদালত যদি মনে করেন যে, নালিশী বিষয় সম্পর্কে সরেজমিনে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, তবে আদালত যাকে উপযুক্ত মনে করবেন তাকে কমিশনে পাঠাতে পারেন। কমিশনার সরেজমিনে তদন্ত শেষে একটি রিপোর্ট আদালতে পেশ করবেন এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষ তাঁকে জেরা করতে পারেন। এই রিপোর্ট মামলায় প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
হিসাব পরীক্ষার জন্য কমিশনের নিয়মাবলী এই আদেশের ১১ ও ১২ বিধিতে বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে যে, কোন মামলার হিসাবপত্র পরীক্ষা বা সংশোধনের প্রয়োজন হলে আদালত যাকে উপযুক্ত মনে করবেন তাকে কমিশনে পাঠায়ে উক্ত হিসাব পরীক্ষা বা সংশোধন করার নিদের্শ দিতে পারেন। কমিশনারের কার্যবিবরণী এবং রিপোর্ট মামলায় প্রমাণরূপে ব্যবহৃত হবে।
সম্পত্তি বাঁটোয়ারার জন্য কমিশনের নিয়মাবলী এই আদেশের ১৩ ও ১৪ নম্বর বিধিতে আছে। এই বিধিগুলি অনুযায়ী কোন ক্ষেত্রে যদি সম্পত্তি বাঁটোয়ারার জন্য প্রাথমিক ডিক্রী প্রদত্ত হয়ে থাকে, তবে আদালত সেক্ষেত্রে কমিশন পাঠায়ে প্রাথমিক ডিক্রীতে বর্ণিত স্বত্ব অনুসারে সম্পত্তিটি বাঁটোয়ারার নির্দেশ দিবেন। প্রয়োজনীয় তদন্ত অনুষ্ঠানের পর কমিশনার আদালতের আদেশ অনুসারে সম্পত্তিটি বণ্টন করবেন এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে তাদের নিজ নিজ অংশ চিহ্নিত করে দিবেন। বিভিন্ন অংশের মূল্যের সমতা সাধনের জন্য আদালত কর্তৃক ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়ে থাকলে কমিশনার সম্পত্তির মূল্যের তারতম্য নগদ টাকায় পরিশোধের নিদের্শ দিতে পারবেন। রিপোর্ট বিষয়ে পক্ষগণের কোন আপত্তি থাকলে আদালত তা বিবেচনা করতঃ কমিশনারের রিপোর্ট অনুমোদন বা সংশোধন করে চূড়ান্ত ডিক্রী প্রদান করবেন।
0 মন্তব্যসমূহ