মানবাধিকার সংরক্ষণে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কি পদ্ধতি অনুসরণ করে?


প্রশ্নঃ মানবাধিকার সংরক্ষণে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে যে সকল পদ্ধতি অনুসরণ করে তা বর্ণনা কর। 

ভূমিকাঃ মানুষ হলো সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের সাথে অন্য কোন সৃষ্টির তুলনা হয় না। সকল ধর্মগ্রন্থেই মানুষকে সকল সৃষ্টির সেরা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। সেই মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য সমাজে বা রাষ্ট্রে যেমন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় তেমনি দেশের বাইরে অর্থাৎ আন্তর্জাতিকভাবেও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়৷

মানবাধিকার সংরক্ষণে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে যে সকল পদ্ধতি অনুসরণ করেঃ চাচী চালান বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম হলো এন.জি.ও। এন.জি.ও বলতে এমন একটি সংস্থাকে বোঝায়, যা কোন সরকার বা আন্তঃসরকারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে গঠিত হয় না। এটি কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান নয় এবং এই সকল এন.জি.ও গুলির কাজে সরকার কোন হস্তক্ষেপ করতে পারে না ।

যে এন.জি.ও গুলির কাজ কোন নির্দিষ্ট দেশের ভূ-খণ্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তাকে জাতীয় এন.জি.ও বলে। আর যে এন.জি.ও গুলির কাজ কোন নির্দিষ্ট দেশের ভূ-খণ্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না বরং বিভিন্ন দেশে তাদের কাজ পরিচালনা হয় তাকে আন্তর্জাতিক এন.জি.ও বলে। মানবাধিকার সংরক্ষণে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে যে সকল পদ্ধতি অনুসরণ করে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

(১) জাতিসংঘের কাজকে সমর্থন করে : এন.জি.ও গুলির অন্যতম নীতি হলো তারা জাতিসংঘের কাজকে সমর্থন করে তাদের কার্যসম্পাদন করে।

(২) জাতিসংঘের নীতির সাথে সাঞ্জস্যতা রেখে : এন.জি.ও গুলি তাদের উদ্দেশ্য ও কাজ জাতিসংঘের মূলনীতির সাথে সাঞ্জস্যতা রেখে বাস্তবায়ন করে।

(৩) আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা : এন.জি.ও গুলি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে তাদের কার্যসম্পাদন করে।

(8) অর্থ সংগ্রহ : এন.জি.ও গুলি তার অংগ সংগঠন বা তার সদস্য বা তার স্বীকৃত কোন সংস্থা থেকে অর্থ সংগ্রহ করে।

(৫) অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাজ : এন.জি.ও গুলির কাজ অবশ্যই অর্থনৈতিক ও সামাজিক হয়ে থাকে।

(৬) লবিস্ট হিসেবে কাজ : এন.জি.ও গুলি আন্তর্জাতিক লবিস্ট হিসেবে কাজ করে থাকে।

উহসংহারঃ জন্মগতভাবে মানুষ অনেকগুলি অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। অর্থাৎ মানুষ পৃথিবীতে আসার আগেই অধিকার তৈরি থাকে। আবার জন্মের পরও অনেকগুলি অধিকার লাভ করে। এগুলি আইন দ্বারা সমর্থিত। এগুলিকে হরণ করা যায় না। কেউ এসে হস্তক্ষেপ করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

টপিক