বাংলাদেশের দেওয়ানী আদালতসমূহের অবকাঠামো, গঠন ও এখতিয়ার আলোচনা কর


প্রশ্নঃ বাংলাদেশের দেওয়ানী আদালতসমূহের অবকাঠামো, গঠন ও এখতিয়ার আলোচনা কর। একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করা হতে চূড়ান্ত শুনানী পর্যন্ত যে সকল পর্যায়ের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয় তা আলোচনা কর। 

Discuss the structure, composition, and jurisdiction of the Civil Courts of Bangladesh. Discuss the stages through which a Civil Suit passes from its institution to the stage of final hearing.

বাংলাদেশের দেওয়ানী আদালতঃ দেওয়ানী আদালতের কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেয়া নেই। তবে দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৯ ধারায় বলা হয়েছে যে, নিষেধ না থাকলে দেওয়ানী আদালত সকল প্রকার দেওয়ানী মামলার বিচার করবে। এতে এরূপ ইঙ্গিত বহন করে যে, যে সকল আদালত দেওয়ানী মামলার বিচার করে সেগুলো হচ্ছে দেওয়ানী আদালত। দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী নাগরিক বিবাদ বিচার করার এখতিয়ার এবং সম্পত্তি ও শরীরের অধিকার নির্ণয় করার এখতিয়ার যে আদালতের রয়েছে সে আদালত হচ্ছে দেওয়ানী আদালত। অর্থাৎ ফৌজদারী আদালত ও সামরিক আদালত ব্যতীত যে সকল আদালত মুলতঃ নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত মামলার বিচার করে থাকে সেগুলোই হচ্ছে দেওয়ানী আদালত। নাগরিক অধিকারটি বেশ ব্যাপক ও বিস্তৃত বিষয়। যেখানে একজন নাগরিকের অধিকার ও দায়িত্বের প্রশ্ন জড়িত থাকে সেখানে এর লংঘনের ক্ষেত্রে দেওয়ানী প্রকৃতির মামলার উদ্ভব হয়।

বাংলাদেশের দেওয়ানী আদালতগুলি নিম্নরূপ-

(১) সুপ্রীম কোর্ট (আপীল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ) 
(২) জেলা জজ আদালত (অতিরিক্ত জেলা আদালতসহ)
(৩) সাবজজ আদালত
(৪) সহকারী জজ আদালত
(৫) ক্ষুদ্র মামলার আদালত (Small Causes Court)
(৬) রাজস্ব আদালত
(৭) পারিবারিক আদালত

(১) সুপ্রীম কোর্টঃ বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৪ অনুচ্ছেদে সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠার বিধান রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, আপীল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট নামে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ একটি আদালত থাকবে।

(ক) আপীল বিভাগ গঠনঃ রাষ্ট্রপতি যেরূপ সংখ্যক প্রয়োজন মনে করবেন সেরূপ সংখ্যক বিচারক নিয়ে আপীল বিভাগ গঠিত হবে। অপেক্ষাকৃত জ্যেষ্ঠতর বা প্রবীণ বিচারকগণ আপীল বিভাগের বিচারক নিযুক্ত হন।

এখতিয়ারঃ সংবিধানের ১০৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, হাইকোর্ট বিভাগের রায়, ডিক্রী, আদেশ বা দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল শুনানীর ও তা নিস্পত্তির এখতিয়ার আপীল বিভাগের থাকবে। আপীল বিভাগের সকল রায় বা সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট বিভাগসহ অধঃস্তন সকল আদালতের জন্য অবশ্য পালনীয় হবে।

(খ) হাইকোর্ট বিভাগঃ

গঠনঃ রাষ্ট্রপতির বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগ গঠিত হবে। আপীল বিভাগের জন্য নিযুক্ত বিচারকগণ ব্যতীত অন্যান্য বিচারকগণ হাইকোর্ট বিভাগে আসন গ্রহণ করবেন।

এখতিয়ারঃ বাংলাদেশ সংবিধানের ১০১ অনুচ্ছেদে হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা ও কার্যাবলী সম্পর্কে বিধান রয়েছে। এই বিধান মোতাবেক ও অন্য কোন আইনের অধীনে দেওয়ানী ও ফৌজদারী কার্যধারার শুনানী গ্রহণ ও নিষ্পত্তির ব্যাপারে হাইকোর্ট বিভাগের অসীম আদি এখতিয়ার থাকবে এবং এই সংবিধান বা অন্য আইনের দ্বারা নির্ধারিত যেরূপ আপীল ও অন্য প্রকারের এখতিয়ার ও ক্ষমতা অর্পিত হবে, হাইকোর্ট বিভাগের সেরূপ ক্ষমতা ও এখতিয়ার থাকবে।

সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই সংবিধান বা অন্য কোন আইনের দ্বারা হাইকোর্ট বিভাগের উপর যেরূপ আদি, আপীল এবং অন্য প্রকার এখতিয়ার ও ক্ষমতা অর্পিত হয়েছে বা হতে পারে হাইকোর্ট বিভাগের সেরূপ ক্ষমতা ও এখতিয়ার থাকবে।

আদি এখতিয়ারের আওতায় হাইকোর্ট বিভাগ যে সকল বিষয়ের বিচার করে থাকেন। দেওয়ানী ও ফৌজদারী কার্যধারার অধীনে বিচার করার ব্যাপারে হাইকোর্ট বিভাগের অসীম আদি এখতিয়ার রয়েছে।

সংবিধানের ৪৪ ও ১০২ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মৌলিক অধিকারসমূহ বলবৎ করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের রীট এখতিয়ার আছে।

এছাড়া অন্যান্য আইন দ্বারা যেমন ১৯৯৪ সালের কোম্পানী এ্যাক্ট দ্বারা কোম্পানী সংক্রান্ত বিষয়ে, ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের অধীনে কর সংক্রান্ত বিরোধ, ১৮৯১ সালের এ্যাডমিরান্টি এ্যাক্ট, ১৯৪০ সালের ট্রেড মার্ক এ্যাক্ট, ১৯৯১ সালের প্যাটেন্ট ও ডিজাইন এ্যাক্ট এবং ১৯২৬ সালের আদালত অবমাননা এ্যাক্ট অনুসারে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিচার করতে পারেন।

(২) জেলা জজ আদালতঃ জেলার প্রধান আদালত হচ্ছে জেলা জজ আদালত। জেলা জজ তার এলাকাধীন সকল অধঃস্তন আদালতের রায়, ডিক্রী, আদেশের বিরুদ্ধে আপীল শুনানী ও নিস্পত্তি করে থাকেন। এছাড়া ঐ সকল আদালতের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। জেলা জজ তার এলাকাধীন এক আদালত হতে অন্য আদালতে মামলা স্থানান্তর বা প্রত্যাহার করতে পারেন। কতিপয় ক্ষেত্রে জেলা জজের মৌলিক এখতিয়ার আছে, যেমন, প্রবেটের মামলা, লেটারস প্যাটেন্ট মামলা, দেউলিয়া সংক্রান্ত মামলা ইত্যাদি। কতিপয় জেলায় অতিরিক্ত জেলা আদালত থাকে। যদিও অতিরিক্ত জেলা জজের বিচার কার্যের এখতিয়ার মর্যাদা জেলা জজের সমান তবুও আদালতের প্রশাসনিক ক্ষমতা এককভাবে জেলা জজের উপর ন্যস্ত। জেলা জজ যে সকল মামলা ও আপীল অতিরিক্ত জেলা জজের নিকট প্রেরণ করেন সেগুলি অতিরিক্ত জেলা জজ নিস্পত্তি করেন। জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা জজের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করা যায়।

(৩) সাব জজ আদালতঃ জেলা জজের পরবর্তী অধঃস্তন আদালত হচ্ছে সাব জজ আদালত। প্রত্যেক জেলায় এরূপ আদালত রয়েছে। সহকারী জজ আদালতের রায়, ডিক্রী ও আদেশের বিরুদ্ধে সাব জজ আদালত আপীল শুনানী ও নিষ্পত্তি করে থাকেন। সহকারী জজ আদালতের বহির্ভূত মামলাগুলি সাবজজ আদালতে দায়ের করা হয়। মৌলিক এখতিয়ারের ক্ষেত্রে সাবজজের আর্থিক এখতিয়ার সীমাহীন।

(৪) সহকারী জজ আদালতঃ পূর্বে যেগুলি মুন্সেফ আদালত হিসেবে পরিচিত ছিল সেগুলিকে বর্তমানে সহকারী জজ আদালত বলা হয়। প্রত্যেক জেলা সদরে এক বা একাধিক সহকারী জজ আদালত রয়েছে এবং প্রত্যেক উপজেলাতেও এরূপ আদালত রয়েছে। বর্তমানে জুনিয়ার সহকারী জজের আর্থিক এখতিয়ার হচ্ছে ২০ হাজার টাকা এবং সিনিয়ার সহকারী জজ আদালতের এখতিয়ার ৫০ হাজার টাকা। এগুলির আঞ্চলিক এখতিয়ার নির্দিষ্ট আছে।

(৫) ক্ষুদ্র মামলার আদালত (Small causes courts):  ক্ষুদ্র মামলার আদালত নামে স্বতন্ত্র কোন আদালত নেই। ১৮৮৭ সালের Small Causes Court Act য়ে বর্ণিত বিষয়গুলি সহজ ও সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার করার জন্য কতিপয় অভিজ্ঞ সহকারী জজ ও সাবজজদেরকে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এগুলি ক্ষুদ্র মামলার আদালত বলা হয়।

(৬) রাজস্ব আদালতঃ সাধারণতঃ কালেক্টর রাজস্ব অফিসার হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের অধঃস্তন একটি আদালত (পি. এল. ডি ১৯৬৪ করাচী ৬০২)। এই আদালতের কার্যক্রমে দেওয়ানী কার্যবিধি প্রযোজ্য হয়ে থাকে।

(৭) পারিবারিক আদালতঃ পারিবারিক আদালত নামে স্বতন্ত কোন আদালত নেই। স্বল্প খরচে, স্বল্প সময়ে এবং সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে পারিবারিক সংক্রান্ত কতিপয় সুনির্দিষ্ট বিষয়ের নিস্পত্তির উদ্দেশ্যে ১৯৮৫ সালের পারিবারিক অধ্যাদেশের আওতায় সকল সহকারী জজ আদালতকে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এ সকল আদালতকে পারিবারিক আদালত বলা হয়। এ আদালতের আর্থিক এখতিয়ার অনির্দিষ্ট মূল্যমানের।

একটি দেওয়ানী মামলা প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত নিম্নোক্ত স্তর বা পর্যায়ের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ঃ

১. মামলা রুজু (Institution): আদালতের কর্মচারীর নিকট আরজি দাখেল করে মামলা রুজু করতে হয় (0.4., R.I)। মামলাটি উক্ত আদালতের বিচার করার এখতিয়ার আছে, নালিশের কারণ, দাবীকৃত প্রতিকার ইত্যাদি আরজিতে উল্লেখ করতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় কোর্ট ফি দিতে হবে।

আরজি পেশ করার পর সংশ্লিষ্ট কর্মচারী (যাকে পেসকার বলা হয়) একটি নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিপিবদ্ধ করবেন এবং ক্রমিক নম্বর বসাবেন। এটাই মামালার নম্বর হিসেবে পরিচিত হবে।

২. সমন জারি ( Issue and Service of Summons): মামলা রুজু হবার পর আদালত একটি নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হয়ে বাদীর আরজির জবাব দিবার জন্য সমন জারি করবেন ( 0.5 R. I) তবে আরজি দাখিল করার সময়েই বিবাদী যদি হাজির হয়ে বাদীর দাবী মেনে নেয় তাহলে কোন সমন জারির প্রয়োজন হয় না। ৫ আদেশের ৩ বিধি মতে আদালত যদি সঙ্গত মনে করেন যে, ঐ তারিখে বাদীরও ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়া প্রয়োজন তবে আদালত বাদীকেও সেই মর্মে আদেশ দিবেন।

৩. হাজিরা ও লিখিত বিবৃতি ( Appearance and written statement): দেওয়ানী কার্যবিধির ৮ আদেশের ১ বিধিতে হাজিরা ও লিখিত বিবৃতি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, মামলার শুনানির তারিখে কিংবা তৎপূর্বে বিবাদী আত্মপক্ষ সমর্থন করে একটি লিখিত বিবৃতি দাখিল করবেন।

৮ আদেশের ১০ বিধিতে বলা হয়েছে যে, যেক্ষেত্রে আদালত কোন পক্ষের নিকট এরূপ লিখিত বিবৃতি তলব করেন এবং সে পক্ষ যদি তা নির্ধারিত সময়ে দাখিল করতে অপারগ হন, তবে আদালত উক্ত পক্ষের বিরুদ্ধে রায় প্রদান করবেন অথবা অন্য কোন উপযুক্ত আদেশ দিবেন।

৪. প্রথম শুনানী এবং বিচার্য বিষয় নির্ধারণ ( First hearing and Settlement of issues): চতুর্থ পর্যায়ে দেওয়ানী মামলার দ্বার উন্মুক্ত হয়ে যায় এবং মোকদ্দমাটি কিভাবে অগ্রসর হবে তার পূর্বাভাষ জানা যায়৷ বাদীর আরজি ও বিবাদীর জবাব পরীক্ষা নিরীক্ষা ও শুনানীর পর তাদের মধ্যে বিরোধের বিষয়গুলি আদালত নির্ধারণ করবেন (আদেশ ১৪, বিধি ১)। আইনগত কোন বিষয় বা তথ্যগত কোন বিষয় যদি এক পক্ষ স্বীকার করেন এবং অপর পক্ষ অস্বীকার করেন তবে সেটা বিচার্য বিষয় হয়।

১৫ আদেশের বিধান মতে মামলার প্রথম শুনানীর দিন যদি প্রতীয়মান হয় যে, পক্ষগণের মধ্যে তথ্য সংক্রান্ত বা আইনগত কোন বিষয়ে কোন বিরোধ নেই তবে আদালত তৎক্ষনাত মামলা খারিজ করে দিতে পারবেন।

৫. মামলার শুনানী, সাক্ষীগণের জবানবন্দী গ্রহণ ও সওয়াল জবাব (Hearing of the suit examination of witnesses and arguments): দেওয়ানী মোকদ্দমার এই স্তর বা পর্যায়টি বেশ গুরত্ব পূর্ণ। এই স্তরেই সাক্ষীদের জবানবন্দী নেয়া হয় এবং পক্ষগণ যুক্তিতর্ক পেশ করেন। ১৮ আদেশের ১ বিধিতে বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক দেওয়ানী মামলার বাদী পক্ষ প্রথম আদালতে তার বক্তব্য পেশ করবেন, কিন্তু বিবাদী পক্ষ যদি বাদীপক্ষের অভিযোগের তথ্যসমূহ স্বীকার করে এরূপ যুক্তি প্রদর্শন করেন যে, আইনগত কোন প্রশ্ন অথবা বিবাদী কর্তৃক উত্থাপিত কোন তথ্যমূলক অভিযোগ বিবেচনার পর যদি প্রতীয়মান হয় যে, বাদী তার প্রার্থিত প্রতিকার পাবার অধিকারী নয় তবে সেক্ষেত্রে বিবাদী পক্ষই প্রথম বক্তব্য পেশ করবেন।

১৮ আদেশের ১২ বিধি মতে জবানবন্দী দানকালে কোন সাক্ষীর আচরণ আদালত প্রয়োজন মনে করলে লিপিবদ্ধ করতে পারবেন। যে সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়েছে প্রয়োজন হলে মামলার যে কোন পর্যায়ে আদালত তাকে পুনরায় তলব করতে পারবেন এবং উক্ত সাক্ষীকে প্রয়োজনীয় যে কোন প্রশ্ন করতে পারবেন।

এভাবে শুনানী ও জবানবন্দীর ভিত্তিতে মামলার উভয় পক্ষ তাদের বক্তব্য ও সওয়াল জবাব উপস্থাপন করবেন।

৬. রায় ও ডিক্রী (Judgement and decree): দেওয়ানী কার্যবিধির ২০ আদেশের ১ বিধির বিধান মতে, মামলার শুনানী সমাপ্ত হবার পর আদালত তৎক্ষনাৎ অথবা পরবর্তী কোন তারিখে প্রকাশ্যভাবে মামলায় রায় প্রদান করবেন। এই আদেশে আরো বলা হয়েছে যে, রায়ের সহিত সামঞ্জস্য রেখে ডিক্রী দিতে হবে।

ডিক্রীতে মামলার নম্বর, পক্ষগণের নাম ও পরিচয় এবং দাবীর বিবরণ উল্লেখ করতে হবে। মামলার খরচের কে কোন অনুপাতে বহন করবে কিংবা কোন সম্পত্তি হতে তা মেটানো হবে ডিক্রীতে তাও উল্লেখ করতে হবে। বিচারক যখন এই মর্মে সন্তুষ্ট হবেন যে, রায় অনুসারে ডিক্রী প্রণীত হয়েছে তখনই তিনি ডিক্রীতে স্বাক্ষর দিবেন।'

৭. ডিক্রী জারী (Execution of decree ): জারী দিবার যোগ্য ডিক্রীসমূহ দিয়ে রায় বাস্তবায়ন করতে হয়। ডিক্রী দানকারী আদালতই ডিক্রী জারীর মাধ্যমে ডিক্রী প্রাপককে ডিক্রীর ফল ভোগ করার ব্যবস্থা করে থাকেন।

এভাবে মামলা শুরু হতে বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে ডিক্রী জারীর মাধ্যমে একটি দেওয়ানী মামলার যবনিকা টানা হয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

টপিক