বাংলদেশ ও মিয়ানমার মামলায় নিষ্পত্তিকৃত অর্থনৈতিক অঞ্চল ও মহীসোপানের সিদ্ধান্ত আলোচনা কর


প্রশ্নঃ বাংলদেশ ও মিয়ানমার মামলায় নিষ্পত্তিকৃত অর্থনৈতিক অঞ্চল ও মহীসোপানের সিদ্ধান্ত আলোচনা কর। 

ভূমিকাঃ সমুদ্র আইন একটি আন্তর্জাতিক আইন। পূর্বের তুলনায় বর্তমানে সমুদ্রের ব্যবহার অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতরাং সমুদ্রের নানামূখী ব্যবহারের ফলে এর গুরুত্বও বৃদ্ধি পেয়েছে। সমুদ্র সংক্রান্ত দু'টি কনভেনশন হলো ১৯৫৮ সালের জেনেভা কনভেনশন এবং ১৯৮২ সালের সমুদ্র সংক্রান্ত কনভেনশন। জ্যামাইকার মন্টিগো বে-তে ১৯৮২ সালের কনভেনশনটি অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলদেশ ও মিয়ানমার মামলায় নিষ্পত্তিকৃত অর্থনৈতিক অঞ্চল ও মহীসোপানের সিদ্ধান্ত আলোচনাঃ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সমুদ্র তটরেখা বা ভিত্তি রেখা থেকে পরবর্তী সর্বোচ্চ ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত এলাকা মহীসোপান অঞ্চল হিসেবে গণ্য। তবে ২০০ নটিক্যাল মাইলের পরেও যদি খণিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায় এবং তা উত্তোলন করা সম্ভব হয় তাহলে মহীসোপানের দৈর্ঘ্য ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। ১৯৮২ সালের সমুদ্র সংক্রান্ত কনভেনশনে এটি নির্ধারিত হয়।

মহীসোপান বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে মায়ানমারের বিরোধের অবসান হয়েছে। ২০১২ সালের ১৪ মার্চ জামার্নির হামবুর্গে সমুদ্র আইন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল এক রায় প্রদান করে। উক্ত রায়ে সমদূরত্বে পরিবর্তে সমতা ও ন্যায্যতার পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। যারফলে সমুদ্রসীমা বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে মায়ানমারের দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান হয়েছে। 

উপসংহারঃ সমুদ্র আইন একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক আইন। সমুদ্রের উপকূলে যে সকল রাষ্ট্র অবস্থিত সেই সকল দেশ এই আইনের বিশেষ সুবিধা ভোগ করে। আঞ্চলিক সমুদ্র এলাকার মধ্যে অন্যান্য দেশ শুধু নির্দোষ ভাবে চলাচল করতে পারে। অন্য কোন সুবিধা ভোগ করতে পারে না। কিন্তু উন্মুক্ত সমুদ্রে সকল দেশ সমান অধিকার ভোগ করে থাকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

টপিক