প্রশ্নঃ দেওয়ানী কার্যবিধি আইনে বিকল্প বিরোধের নিষ্পত্তির কোন পদ্ধতি স্বীকৃত হয়েছে? মধ্যস্থতা প্যানেল কে মনোনীত করেন? মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজনীয় যোগ্যতাসমূহ কী কী? মধ্যস্থতার মাধ্যমে ঘোষিত ডিক্রীর বিরুদ্ধে কোন আপীল বা রিভিশন চলে কি? তুমি কি মনে কর যে, আদালত সংশ্লিষ্ট এই এ ডি আর ব্যবস্থা বিচারাধীন মামলার আধিক্য কমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ?
Which method of Alternative Dispute Resolution has been recognised in the Code of Civil Procedure? Who does select ' Mediator Panel? What is the required qualification or a mediator? Is appeal or revision laid against the decree passed through mediation? Do you think that this court annexed ADR system is an important initiative to reduce the excessiveness of undertrial cases?
দেওয়ানী কার্যবিধি আইনে বিকল্প বিরোধের নিষ্পত্তি পদ্ধতি গৃহীত হয়েছেঃ ২০০৩ সনের ৪নং আইন এবং ২৯ নং আইন দ্বারা দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের পর্যাপ্ত সংশোধন করা হয়েছে। ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধির পার্ট-৫ এর Special Proceedings শিরোনামায় Arbitration উপ-শিরোনামার স্থলে Alternative Dispute Resolution প্রতিস্থাপিত হয়েছে। অর্থাৎ ‘সালিশ’ এর স্থলে ‘বিকল্প বিবাদ নিষ্পত্তি' প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ৮৯ ক ধারায় Mediation বা মধ্যস্থতা সম্পর্কে বিধান করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সালের অর্থ ঋন আদালত আইনের আওতায় আনীত মামলা ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে পক্ষগণের নিয়োজিত আইনজীবীদের উপর আদালত মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির দায়িত্ব অর্পন করতে পারেন। নিয়োজিত আইনজীবী না থাকলে ৮৯ ক করার ১০ উপ-ধারা অনুযায়ী জেলা জজ কর্তৃক প্রস্তুত কৃত মধ্যস্থতাকারী প্যানেল হতে যে কাউকে এ দায়িত্ব দিতে পারেন।
মধ্যস্থাতাকারীর যোগ্যতাঃ ৮৯ ক ধারার ১০ উপ-ধারা অনুযায়ী নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ মধ্যস্থতাকারী হতে পারবেন। অবসর প্রাপ্ত জেলা জজ; বিরোধ সুরাহায় প্রশিক্ষিত বলে পরিচিত কোন ব্যক্তি প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে নিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য যে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ যারা অত্র উদ্দেশ্যে সঠিক বলে গণ্য।
তবে শর্ত থাকে যে, কোন কোর্টে কোন মামলায় কোন পক্ষ দ্বারা কোন সময় কোন ব্যক্তি আইনজীবী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে থাকলে পক্ষসমূহের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
মধ্যস্থতার মাধ্যমে ঘোষিত ডিক্রির বিরুদ্ধে কোন আপীল বা রিভিশন চলে কিনাঃ ৮৯ ক ধারা ১১ উপ-ধারায় বলা হয়েছে যে, অত্র ধারানুযায়ী সুরাহার প্রেক্ষিতে কোর্ট কোন আদেশ কিংবা ডিক্রি দিলে তার বিরুদ্ধে কোনরুপ আপীল কিংবা রিভিশন করা যাবে না।
আদালত সংশ্লিষ্ট এ.ডি.আর ব্যবস্থা বিচারাধীন মামলার আধিক্য কমায় কি নাঃ এ.ডি.আর ব্যবস্থা মূলতঃ দুই প্রকারের। যথা, আদালত সংশ্লিষ্ট ও সমাজ-ভিত্তিক এ.ডি.আর। ২০০৩ সালে দেওয়ানী কার্যবিধি সংশোধনের মাধ্যমে আদালত সংশ্লিষ্ট এ.ডি.আর ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে এবং এখন তা আইনের মর্যাদা লাভ করেছে। আদালতের উপর মামলার সংখ্যাধিক্যের চাপ নিরসনে এটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করা যায়।
0 মন্তব্যসমূহ