প্রশ্নঃ চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের কয়েকজন কবির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ৷
উত্তরঃ মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে মঙ্গলকাব্যের ধারায় চণ্ডীমঙ্গল
কাব্য বিশিষ্ট স্থান জুড়ে আছে। চণ্ডীদেবীর কাহিনী অবলম্বনে রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্য এদেশে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল এবং কয়েকজন কবির দ্বারা কাব্যধারায় রূপায়িত হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম-
কাব্য বিশিষ্ট স্থান জুড়ে আছে। চণ্ডীদেবীর কাহিনী অবলম্বনে রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্য এদেশে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল এবং কয়েকজন কবির দ্বারা কাব্যধারায় রূপায়িত হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম-
মানিক দত্তঃ চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আদি কবি। তিনি সম্ভবত ষোড়শ শতকের বেশ পূর্বে জন্মে ছিলেন। তার নিবাস মালদহ জেলার বর্তমান ফুলবাড়ি। তিনি কানা ও খোঁড়া ছিলেন।
দ্বিজ মাধবঃ দ্বিতীয় ও অন্যতম কবি। নিবাস চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণ বংশে জন্ম।
কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীঃ চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি। বর্ধমান জেলার দামিন্যা গ্রামে জন্ম। পিতা হৃদয় মিশ্র। গোত্র সাবর্ণ। তার কাব্য রচনাকাল ১৫৯৪-১৬০৩ খ্রিঃ এর মধ্যে। তার কাব্যে সমাজের এত খুঁটিনাটি বর্ণনা মেলে যা দেখে সমালোচক তাকে মধ্যযুগের ঔপন্যাসিক বলেছেন। তার কাব্যের ভাড়ুদত্ত ও মুরারীশীল চরিত্র বাংলা সাহিত্যের অনন্য সংযোজন।
দ্বিজরাম দেবঃ চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য অবলম্বনে অভয়ামঙ্গল কাব্য রচনা করেছেন।
মুক্তারাম সেনঃ সারদামঙ্গল নামে কাব্য লিখে তিনি চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের অন্যতম কবি হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। চট্টগ্রামে তার জন্ম।
রামানন্দ যতিঃ মুকুন্দরামের কাব্য সমালোচনা করে তিনি মঙ্গলকাব্য লিখেছেন।
কৃষ্ণরাম দাসঃ তার কমলেকাহিনী ও অষ্টমঙ্গলার সামান্য অংশ পাওয়া গেছে।
দ্বিজ হরিরামঃ কবিকঙ্কণ মুকুন্দ প্রভাবিত একজন কবি। এছাড়াও জয়নারায়ণ সেন, ভবানীশঙ্কর দাস, দ্বিজ জনার্দন, অকিঞ্চন চক্রবতী চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের কবি।
0 মন্তব্যসমূহ