প্রশ্নঃ মনসামঙ্গল কাব্যের কবিদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উত্তরঃ মনসামঙ্গল কাব্য মূলত পূর্ব বাংলার দান। এ অঞ্চলে নদী ও বনজঙ্গলের কারণে সাপের প্রকোপ বেশি। সাপের হাত হতে রক্ষা পেতে সাপের দেবী মনসার স্তুতি করে যারা কাব্য লিখেছেন তারা হচ্ছেন—
নারায়ণ দেবঃ মনসামঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি। তার কাব্য ‘পদ্মপুরান'। সংস্কৃত পুরান অবলম্বনে তার কাব্য রচিত। পাণ্ডিত্য ও স্বভাবস্ফূর্ত সরস কবিত্বের পরিচয় তার কাব্যে রয়েছে। তার কাব্য করুণরসের আকর।
বিজয় গুপ্তঃ গৌড়নদী জেলার গৈলা গ্রামের কবি পঞ্চদশ শতকের মানুষ ছিলেন। পিতা সনাতন, মাতা রুক্ষিণী। কবিপ্রতিভা উচ্চাঙ্গের নয়, বিষয়গুণেই তার কাব্যের প্রসার। তার মধ্যে ভাব অপেক্ষা বিশ্লেষণী ক্ষমতা বেশি ছিল। তার মনসামঙ্গল তৎকালীন সময়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক দলিল।
বিপ্রদাস পিপলাইঃ কবির লেখা দুটো পুঁথির বড়টিতে চাঁদ সদাগরের বাণিজ্যযাত্রা পর্যন্ত আছে। কিন্তু মনসামঙ্গলের মূল কাহিনী বেহুলা লখিন্দরের কাহিনী সেখানে নেই। ১৪৯৫ খ্রিঃ কাব্য শেষ করেন। তার কাব্যের নাম ‘মনসাবিজয়’।
ষষ্টিবর দত্তঃ সিলেট জেলার জনপ্রিয় মনসামঙ্গল কাব্যের কবি। তার উপাধি ছিল গুণরাজ খাঁ। তার কাব্যের নাম ‘পদ্মপুরান’। তার কাব্য দেবখণ্ড, বাণিজ্য খণ্ড ও স্বর্গারোহণ খণ্ড— তিন ভাগে বিভক্ত।
কানাহরি দত্তঃ মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি বলে পরিচিত এ কবির কাব্য খুঁজে পাওয়া যায় নি।
0 মন্তব্যসমূহ