অনুচিত প্রশ্ন বাধাদানে আদালতের কি কি অধিকার আছে?


প্রশ্নঃ অনুচিত প্রশ্ন বাধাদানে আদালতের কি কি অধিকার আছে?

অনুচিত প্রশ্নে বাধাদানে আদালতের ক্ষমতাঃ সাক্ষীকে অযথা হয়রানি হতে রক্ষা করার জন্য ১৪৮ ধারায় বিধান রাখা হয়েছে যে, বিচার্য বিষয় বা প্রাসঙ্গিক বিষয় বহির্ভূত যে সকল প্রশ্নাদি সাক্ষীর চরিত্রকে আঘাত করার জন্য করা হয় সে সকল প্রশ্ন সম্পর্কে আদালত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এবং যথার্থ মনে করলে সাক্ষীকে জানায়ে দিবেন যে, তিনি এর উত্তর দিতে বাধ্য নন।

দোষারোপমূলক কোন প্রশ্ন করা হলে ১৪৯ ধারার বিধান মতে আদালত প্রশ্নকারীকে এর ভিত্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন এবং যথার্থ মনে না করলে এরূপ প্রশ্ন করা হতে তাঁকে বিরত রাখতে পারেন।

১৫০ ধারায় বলা হয়েছে যে, আদালত যদি এরূপ অভিমত পোষণ করেন যে, যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত কোন প্রশ্ন করা হয়েছে তাহলে আদালত প্রশ্নকর্তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে রিপোর্ট দিতে পারেন।

অশালীন কিংবা কুৎসামূলক প্রশ্ন করা হলে ১৫১ ধারার বিধান মতে আদালত তা নিষেধ করতে পারেন এবং সাক্ষীকে এর উত্তর দিতে বাধ্য নন বলে জানাতে পারেন। তবে সরাসরি বিচার্য বিষয় সম্পর্কে কিংবা বিচার্য বিষয়ের অস্তিত্ব প্রমাণ বা অপ্রমান সম্পর্কে হলে জেরা করার সময় এরূপ প্রশ্ন করা যায়।

একই অপ্রমান বা উত্যক্ত করার উদ্দেশ্যে কোন প্রশ্ন করা হলে ১৫২ ধারার বিধান মতে আদালত তা নিষেধ করতে পারেন।

একজন সাক্ষীর বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করা যায় মূলত দু'ভাবে। প্রথমত ১৩৭ ও ১৩৮ ধারার বিধান মোতাবেক তাকে জেরা করে দেখানো যায় যে, তিনি যা বলছেন তা সত্য (বা স্বাভাবিক নয় এবং যথার্থ ঘটনার সাথে তার বক্তব্য মিলছে না। জেরার মাধ্যমে এটাও দেখানো যায় যে, চরিত্র ও সামাজিক মর্যাদার দিক দিয়ে তিনি অনেক নিম্ন স্তরের ব্যক্তি ( দ্বিতীয়ত জেরার উপর নির্ভর না করে স্বাধীনভাবে সাক্ষ্য প্রমাণ এনে ১৫৫ ধারার বিধান মতে বিরুদ্ধ পক্ষের সাক্ষীর বিশ্বস্ততাকে নষ্ট বা খর্ব করা যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

টপিক