প্রশ্নঃ প্যাটেন্ট কাকে বলে? পেটেন্টের জন্য আবশ্যকীয় উপাদানগুলো কী? প্যাটেন্টের ক্ষেত্রে কন্ট্রিবিউটরি ইনফ্রিজ্ঞমেন্ট বলতে কী বোঝ?What is Patent? What are the essentials of a patent? What do you mean by contributory infringement of patent?
প্যাটেন্টঃ ২০২২ সালের প্যাটেন্ট আইনের ২ (১১) ধারায় বলা হয়েছে যে, ‘প্যাটেন্ট’ অর্থ অত্র আইনের বিধানাবলীল অধীন প্রদত্ত কোনো প্যাটেন্ট এবং যে ব্যক্তির নামে প্যাটেন্ট মঞ্জুর করা হয় তাকে Patentee বা প্যাটেন্টগ্রহীতা বলে।
কোনো ব্যক্তি একটি নতুন ও প্রয়োজনীয় বস্তু আবিষ্কার করলে কিংবা বিদ্যমান কোনো বস্তু বা প্রক্রিয়ার উন্নয়ন করলে তার স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার সেই ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি সনদ প্রদান করে যাকে প্যাটেন্ট বলে। সেই অর্থে প্যাটেন্ট হচ্ছে একটা ডকুমেন্ট বা দলিল যার বলে প্যাটেন্টগ্রহীতা একটা নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য উদ্ভাবিত বস্তু বা প্রক্রিয়ার ওপর একচ্ছত্র অধিকার ভোগ করে। এ অর্থে প্যাটেন্ট হচ্ছে কোনো বস্তু বা প্রক্রিয়ার ওপর একচ্ছত্র অধিকার। এটি সংবিধিবদ্ধ আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় বিধায় এর প্রয়োগ অঞ্চলভিত্তিক। তাই এক দেশে মঞ্জুরকৃত প্যাটেন্ট অন্য কোনো দেশে প্রয়োগ করা যাবে না। অবশ্য যেদেশে আবার নতুন করে প্যাটেন্ট নিতে হবে তাহলে সেখানে তা বলবৎ করা যাবে।
প্যাটেন্টের জন্য আবশ্যকীয় উপাদানঃ প্যাটেন্টের জন্য আবশ্যকীয় উপাদান নিম্নরূপ-
(১) আবেদনপত্রঃ কোনো বস্তুর প্রথম আবিষ্কারক অথবা তার নিকট হতে স্বত্ত্বগ্রহীতা প্যাটেন্ট আইনের ৩ ধারা অনুসারে নির্ধারিত ফরমে এবং নির্ধারিত পদ্ধতি প্যাটেন্ট কার্যালয়ে আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে ৪ ধারা অনুসারে স্পেসিফিকেসন অর্থাৎ আবিষ্কারের বর্ণনা দিতে হবে।
(২)) প্যাটেন্টযোগ্যঃ আবিষ্কারটি অবশ্যই প্যাটেন্টযোগ্য হতে হবে। প্যাটেন্টযোগ্য হতে হলে ৩টি শর্ত পূরণ করতে হবে। সেগুলো হচ্ছে নিম্নরূপ —
(ক) নতুনত্ব (Novelty);
(খ) উদ্ভাবনী প্রয়াস (Inventive step);
(গ) শিল্পক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্যতা (Industrial applicability)।
(ক) নতুনত্বঃ প্যাটেন্টযোগ্য হতে হলে উদ্ভাবনীটি নতুন হতে হবে। কোনো বস্তু বা যন্ত্রকৌশল যা বাজারে প্রচলিত আছে তা প্যাটেন্টযোগ্য হতে পারে না। এটা নতুন অর্থাৎ পূর্বে আবিষ্কৃত বা উদ্ভাবিত হয় নি কিংবা কোনো প্রচলিত প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করা হয়েছে এরূপ বস্তু বা প্রক্রিয়া প্যাটেন্টের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে। অর্থাৎ বিষয়টি যেন Prior art এর-অংশ না হয়। যে বিষয়টি দেশে- বিদেশে জনগণের পরিচিত বা যা সম্পর্কে জনগণ শুনেছে বা দেখেছে তা Prior art হিসেবে গণ্য।
নতুন নতুন উদ্ভাবন করে জ্ঞান-বিজ্ঞানে দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়াই এর উদ্দেশ্য। এজন্য অবশ্য পুরাতন জ্ঞানকে যেন কাজে লাগানো যায় সেজন্য প্রচলিত প্যাটেন্টটি প্যাটেন্টগ্রহীতা বিক্রয় করতে পারে বা লাইসেন্স প্রদান করতে পারে। এছাড়া প্যাটেন্টের মেয়াদও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য করা হয়েছে যেন উক্ত সময়ের পরে তা জনগণের জন্য উন্মোচিত হয়। পৃথিবীর যেকোনো দেশে নতুন কিছু আবিষ্কার বা উদ্ভাবন হলে ওয়াইপোর মাধ্যমে সেই প্যাটেন্টের প্রযুক্তি হস্তান্তর করা যায় এবং সমগ্র পৃথিবীতে নতুন নতুন উদ্ভাবনের একটা অব্যক্ত প্রতিযোগিতা চলে।
(খ) উদ্ভাবনী প্রয়াসঃ উদ্ভাবনটি শুধু নতুন বা প্ৰচলিত কৌশল বা ধারণার চেয়ে উন্নত ও নতুন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হলেই চলবে না প্যাটেন্টযোগ্য হতে হলে এটা অবশ্য সৃজনশীল হতে হবে অর্থাৎ উদ্ভাবক এতে যথেষ্ট মেধাশক্তির প্রয়োগ ঘটিয়েছে তা প্রতীয়মান হতে হবে।
একটি প্রয়াস উদ্ভাবনীমূলক হিসেবে গণ্য হবে যখন উক্ত উদ্ভাবন বা কৌশল সৃষ্টিশীল ধারণার ফল হিসেবে গণ্য হয়। সৃষ্টিশীল হিসেবে গণ্য হতে হলে তা অবশ্যই প্রচলিত ধারণা থেকে উন্নত ও বিস্ময়কারী ধারণার জন্ম দিয়েছে বলে প্রতীয়মান হবে অথবা সম্পূর্ণ নতুন ধারণার বা কৌশলের সৃষ্টি করেছে এরূপ হতে হবে। এছাড়া প্রচলিত কোনো বিষয় বা প্রক্রিয়া বা কৌশলের উন্নত সংস্করণ হলে তার সাথে প্রচলিত বিষয় বা প্রক্রিয়া ও কৌশলের সুস্পষ্ট পার্থক্য থাকতে হবে।
(গ) শিল্পগত প্রয়োগযোগ্যতা (Industrial applicability): কোনো উদ্ভাবনীকে প্যাটেন্টযোগ্য হতে হলে তা অবশ্যই এমন প্রকৃতির হতে হবে যেন তা শিল্পক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য হয়। শিল্পক্ষেত্র বলতে এমন ক্ষেত্র যেখানে কারিগরি পন্থায় কোনো নির্দিষ্ট মাত্রায় প্রয়োগ করা যায়। প্যারিস কনভেনশন অনুযায়ী বৃহৎ অর্থে হস্তশিল্প, কৃষি, মৎস্য ও সেবাকে বোঝাবে।
এছাড়া দেখতে হবে যেন উদ্ভাবন বা আবিষ্কার দ্বারা বারিত না হয়। বিভিন্ন দেশের আইন ও আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে প্যাটেন্ট মঞ্জুর করা যায় না-
(ক) কোনো তুচ্ছ আবিষ্কার বা যা অস্পষ্ট এবং সুপ্রতিষ্ঠিত প্রাকৃতিক আইনের পরিপন্থী;
(ক) নতুনত্বঃ প্যাটেন্টযোগ্য হতে হলে উদ্ভাবনীটি নতুন হতে হবে। কোনো বস্তু বা যন্ত্রকৌশল যা বাজারে প্রচলিত আছে তা প্যাটেন্টযোগ্য হতে পারে না। এটা নতুন অর্থাৎ পূর্বে আবিষ্কৃত বা উদ্ভাবিত হয় নি কিংবা কোনো প্রচলিত প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করা হয়েছে এরূপ বস্তু বা প্রক্রিয়া প্যাটেন্টের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে। অর্থাৎ বিষয়টি যেন Prior art এর-অংশ না হয়। যে বিষয়টি দেশে- বিদেশে জনগণের পরিচিত বা যা সম্পর্কে জনগণ শুনেছে বা দেখেছে তা Prior art হিসেবে গণ্য।
নতুন নতুন উদ্ভাবন করে জ্ঞান-বিজ্ঞানে দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়াই এর উদ্দেশ্য। এজন্য অবশ্য পুরাতন জ্ঞানকে যেন কাজে লাগানো যায় সেজন্য প্রচলিত প্যাটেন্টটি প্যাটেন্টগ্রহীতা বিক্রয় করতে পারে বা লাইসেন্স প্রদান করতে পারে। এছাড়া প্যাটেন্টের মেয়াদও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য করা হয়েছে যেন উক্ত সময়ের পরে তা জনগণের জন্য উন্মোচিত হয়। পৃথিবীর যেকোনো দেশে নতুন কিছু আবিষ্কার বা উদ্ভাবন হলে ওয়াইপোর মাধ্যমে সেই প্যাটেন্টের প্রযুক্তি হস্তান্তর করা যায় এবং সমগ্র পৃথিবীতে নতুন নতুন উদ্ভাবনের একটা অব্যক্ত প্রতিযোগিতা চলে।
(খ) উদ্ভাবনী প্রয়াসঃ উদ্ভাবনটি শুধু নতুন বা প্ৰচলিত কৌশল বা ধারণার চেয়ে উন্নত ও নতুন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হলেই চলবে না প্যাটেন্টযোগ্য হতে হলে এটা অবশ্য সৃজনশীল হতে হবে অর্থাৎ উদ্ভাবক এতে যথেষ্ট মেধাশক্তির প্রয়োগ ঘটিয়েছে তা প্রতীয়মান হতে হবে।
একটি প্রয়াস উদ্ভাবনীমূলক হিসেবে গণ্য হবে যখন উক্ত উদ্ভাবন বা কৌশল সৃষ্টিশীল ধারণার ফল হিসেবে গণ্য হয়। সৃষ্টিশীল হিসেবে গণ্য হতে হলে তা অবশ্যই প্রচলিত ধারণা থেকে উন্নত ও বিস্ময়কারী ধারণার জন্ম দিয়েছে বলে প্রতীয়মান হবে অথবা সম্পূর্ণ নতুন ধারণার বা কৌশলের সৃষ্টি করেছে এরূপ হতে হবে। এছাড়া প্রচলিত কোনো বিষয় বা প্রক্রিয়া বা কৌশলের উন্নত সংস্করণ হলে তার সাথে প্রচলিত বিষয় বা প্রক্রিয়া ও কৌশলের সুস্পষ্ট পার্থক্য থাকতে হবে।
(গ) শিল্পগত প্রয়োগযোগ্যতা (Industrial applicability): কোনো উদ্ভাবনীকে প্যাটেন্টযোগ্য হতে হলে তা অবশ্যই এমন প্রকৃতির হতে হবে যেন তা শিল্পক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য হয়। শিল্পক্ষেত্র বলতে এমন ক্ষেত্র যেখানে কারিগরি পন্থায় কোনো নির্দিষ্ট মাত্রায় প্রয়োগ করা যায়। প্যারিস কনভেনশন অনুযায়ী বৃহৎ অর্থে হস্তশিল্প, কৃষি, মৎস্য ও সেবাকে বোঝাবে।
এছাড়া দেখতে হবে যেন উদ্ভাবন বা আবিষ্কার দ্বারা বারিত না হয়। বিভিন্ন দেশের আইন ও আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে প্যাটেন্ট মঞ্জুর করা যায় না-
(ক) কোনো তুচ্ছ আবিষ্কার বা যা অস্পষ্ট এবং সুপ্রতিষ্ঠিত প্রাকৃতিক আইনের পরিপন্থী;
(খ) যার ব্যবহার জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর;
(গ) রাসায়নিক প্রক্রিয়া দ্বারা প্রস্তুতকৃত আবিষ্কার যেমন— অপটিক্যাল গ্লাস;
(ঘ) যার ব্যবহার আইন, সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার পরিপন্থী;
(ঙ) খাদ্য ও ওষুধ সম্পর্কিত আবিষ্কার;
(চ) কোনো বৈজ্ঞানিক মতবাদের উদ্ভাবন, যেমন আপেক্ষিক তত্ত্ব প্যাটেনযোগ্য নয়;
(ছ) আণবিক শক্তি সম্পর্কিত কোনো আবিষ্কার;
(জ) মাইক্রো বাইওলোজিক্যাল প্রসেস;
(ঝ) মানুষ, প্রাণী ও উদ্ভিদের চিকিৎসা পদ্ধতি;
(ঞ) কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবসায় ও ক্রীড়া বিষয়ক পরিকল্পনা;
(ট) সাহিত্য, নাট্য, সংগীত, শিল্প বা অন্য কোনো সৌন্দর্যবোধসম্পন্ন আবিষ্কার।
কন্ট্রিবিউটরি ইনফিঞ্জপ্যামেন্টঃ যেক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে পেটেন্ট লঙ্ঘন করে না কিন্তু অপর ব্যক্তিকে তা লঙ্ঘন করতে সহায়তা করে বা প্ররোচিত করে। যেমন কোনো প্যাটেন্টকৃত প্রক্রিয়ায় ব্যবহারের জন্য যে সকল উপাদান ব্যবহার করা হয় তা প্যাটেন্টকৃত নয়। তাই প্যাটেন্ট লঙ্ঘনকারী উপাদানের সমন্বয়ে প্যাটেন্টকৃত প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করলে তা পরোক্ষ বা কন্ট্রিবিউটরি প্যাটেন্ট লঙ্ঘন। এক্ষেত্রে ব্রিটিশ প্যাটেন্ট আইন ব্যবস্থার সাথে মার্কিন প্যাটেন্ট আইন ব্যবস্থার মধ্যে কিছু পার্থক্য দেখা যায়। লঙ্ঘনকারী খুচরা যন্ত্রাংশ দ্বারা কোনো প্যাটেন্টকৃত বস্তু উৎপাদন করলে খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহকারীকে প্যাটেন্ট লঙ ঘনের জন্য দায়ী করা হয় না। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী এবং বস্তু উৎপাদনকারী উভয়কেই প্যাটেন্ট লঙ ঘনের জন্য দায়ী হয়। এগুলো হচ্ছে পরোক্ষ বা কন্ট্রিবিউটরী প্যাটেন্ট লঙ্ঘন।
কন্ট্রিবিউটরি ইনফিঞ্জপ্যামেন্টঃ যেক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে পেটেন্ট লঙ্ঘন করে না কিন্তু অপর ব্যক্তিকে তা লঙ্ঘন করতে সহায়তা করে বা প্ররোচিত করে। যেমন কোনো প্যাটেন্টকৃত প্রক্রিয়ায় ব্যবহারের জন্য যে সকল উপাদান ব্যবহার করা হয় তা প্যাটেন্টকৃত নয়। তাই প্যাটেন্ট লঙ্ঘনকারী উপাদানের সমন্বয়ে প্যাটেন্টকৃত প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করলে তা পরোক্ষ বা কন্ট্রিবিউটরি প্যাটেন্ট লঙ্ঘন। এক্ষেত্রে ব্রিটিশ প্যাটেন্ট আইন ব্যবস্থার সাথে মার্কিন প্যাটেন্ট আইন ব্যবস্থার মধ্যে কিছু পার্থক্য দেখা যায়। লঙ্ঘনকারী খুচরা যন্ত্রাংশ দ্বারা কোনো প্যাটেন্টকৃত বস্তু উৎপাদন করলে খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহকারীকে প্যাটেন্ট লঙ ঘনের জন্য দায়ী করা হয় না। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী এবং বস্তু উৎপাদনকারী উভয়কেই প্যাটেন্ট লঙ ঘনের জন্য দায়ী হয়। এগুলো হচ্ছে পরোক্ষ বা কন্ট্রিবিউটরী প্যাটেন্ট লঙ্ঘন।
0 মন্তব্যসমূহ