নালিশযোগ্য দাবির অর্থ কি? ইহা কিভাবে হস্তান্তর করা যায়? এর হস্তান্তর গ্রহীতার দায়গুলি কি? ইহার হস্তান্তর গ্রহীতার অধিকার ও দায়-দায়িত্ব আলোচনা কর


প্রশ্নঃ নালিশযোগ্য দাবির অর্থ কি? ইহা কিভাবে হস্তান্তর করা যায়? এর হস্তান্তর গ্রহীতার দায়গুলি কি? ইহার হস্তান্তর গ্রহীতার অধিকার ও দায়-দায়িত্ব আলোচনা কর। 

Question: What is meant by an actionable claim? How can it be transferred? What are the liabilities of its transferee? Discuss the rights and liabilities of the transferee of it.

উত্তরঃ 

নালিশযোগ্য দাবিঃ ১৮৮২ সালের সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৩ ধারায় নালিশযোগ্য দাবীর সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এই ধারা অনুসারে যে ঋণ কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির জামানতে গৃহীত হয় নি, সেই ঋণের প্রতি দাবীকে বা দাবীদারের দখলে নাই এমন কোন অস্থাবর সম্পত্তি কোন স্বার্থের (যা দেওয়ানী আদালতে প্রতিকারযোগ্য) প্রতি দাবীকে নালিশযোগ্য দাবী বলে। এই প্রকারের ঋণ বা সুবিধা বর্তমানে বিদ্যমান, অথবা ভবিষ্যতে জন্মলাভ শর্তাধীন কিংবা ঘটনার উপর নির্ভরশীল বলে গণ্য হতে পারে।

অতএব নালিশযোগ্য বলতে সে সকল দাবীকেই বুঝায় বা আদালতের মাধ্যমে প্রতিকারযোগ্য এবং সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের হস্তান্তরযোগ্য।

কিরূপে হস্তান্তর করা যায়ঃ নালিশযোগ্য দাবী কিরূপে হস্তান্তর করা যায় সে সম্পর্কে ১৩০ ধারায় বিধান আছে। এই ধারা মতে, শুধু লিখিত দলিল সম্পাদন দ্বারা ইহা হস্তান্তর করা যায়। মূল্যের বিনিময়ে হোক বা বিনামূল্যে হোক এর জন্য লিখিত দলিল একান্ত প্রয়োজন। হস্তান্তর দলিলটিতে হস্তান্তরকারী নিজে বা তার প্রতিনিধি কর্তৃক অবশ্যই স্বাক্ষরিত হতে হবে। নালিশযোগ্য দাবীর হস্তান্তর ব্যাপারে দেনাদারকে কোন নোটিশ দিবার প্রয়োজন হয় না।

হস্তান্তর গ্রহীতার দায়ঃ হস্তান্তর আইনের ১৩০ ধারা মোতাবেক নালিশযোগ্য দাবী হস্তান্তরের পর হস্তান্তরগ্রহীতা হস্তান্তরকারীর স্থলাবর্তী হয় এবং তার সমস্ত অধিকার ও প্রতিকার লাভ করে। এছাড়া হস্তান্তরকারীর বিনা অনুমতিতে এবং তাকে পক্ষ না করে সে নিজের নামে মামলা দায়ের করে উক্ত দাবীর টাকা আদায় করতে পারে।

এরূপ হস্তান্তরের ফলে হস্তান্তর গ্রহীতার কিছু কর্তব্য সৃষ্টি হয়। হস্তান্তরের সময় হস্তান্তরকারী যে সব দায় ও ন্যায়নীতির অধীন ছিলেন হস্তান্তরগ্রহীতা সে সব দায় ও ন্যায়নীতির অধীন হবেন।

হস্তান্তর গ্রহীতার অধিকার ও দায়-দায়িত্বঃ

অধিকারঃ সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ১৩০ ধারা অনুযায়ী নালিশযোগ্য দাবীর হস্তান্তরগ্রহীতা হস্তান্তরের দলিল গ্রহনের পর হস্তান্তরকারীর স্থলবর্তী হয় এবং হস্তান্তরকারীর বিনা অনুমতিতে এবং তাকে পক্ষ না করে নিজের নামে মামলা দায়ের করে উক্ত দাবীর টাকা আদায় করতে পারে।

দায়-দায়িত্বঃ ১৩০ ধারা অনুসারে হস্তান্তরের নোটিশ না পাওয়া পর্যন্ত খাতক যদি পূর্ব মহাজনের সহিত কোন লেনদেন করে তবে তা হস্তান্তরগ্রহীতার উপর বাধ্যকর হবে। ১৩২ ধারায় বলা হয়েছে যে, নালিশযোগ্য দাবীর হস্তান্তরকারী হস্তান্তরের সময় যে সকল দায় ও ন্যায়নীতির দ্বারা বাধ্য ছিল এর হস্তান্তর গ্রহীতাও সে সকল দায় ও ন্যায়নীতির দ্বারা বাধ্য থাকবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

টপিক