সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৪র্থ পরিচ্ছেদের অধীনে কিভাবে নোটিশ জারী হয়? একজন অযোগ্য ব্যক্তির উপর কিভাবে নোটিশ জারী হবে?


প্রশ্নঃ সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ৪র্থ পরিচ্ছেদের অধীনে কিভাবে নোটিশ জারী হয়? একজন অযোগ্য ব্যক্তির উপর কিভাবে নোটিশ জারী হবে?

[How is a notice served under chapter IV of the Transfer of Property Act? How will a notice be served on an incompetent person?]

উত্তরঃ

৪র্থ পরিচ্ছেদের অধীনে নোটিশ জারীঃ

৪র্থ পরিচ্ছেদের ১০২ ও ১০৩ ধারায় যথাক্রমে প্রতিনিধির উপর এবং চুক্তি সম্পাদনে অযোগ্য ব্যক্তির উপর - নোটিশ জারী সম্পর্কে বিধান রয়েছে।

১০২ ধারায় বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তির উপর নোটিশ জারী করতে হবে বা যাকে কোন অর্থ অর্পণ করতে হবে সেই ব্যক্তি রেহেন সম্পত্তি বা এর অংশ যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলায় যদি বসবাস না করে তবে তার আমমোক্তার বা অন্যভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির উপর এরূপ নোটিশ জারী বা অর্থ অর্পণ করা হলে উক্ত জারী বা অর্পণ যথেষ্ট বলে গণ্য করা হবে।

এই ধারায় আরো বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তির উপর নোটিশ জারী করতে হবে তাকে বা তার প্রতিনিধিকে না পাওয়া গেলে বা সে নোটিশ জারীকারকের অপরিচিত হলে উক্ত নোটিশ জারীকরণ যে আদালতে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির রেহেনমুক্তির মামলা করা যেতে পারে সেই আদালতে দরখাস্ত দাখিল করতে হবে। অত:পর উক্ত আদালত উক্ত নোটিশ জারীর পন্থা সম্পর্কে নির্দেশ দিবেন। সে মোতাবেক নোটিশ জারী করা হলে তা যথেষ্ট বলে বিবেচিত হবে।

শর্ত থাকে যে, ৮৩ ধারা অনুসারে অর্থ জমা দেয়া সম্পর্কে নোটিশ দিতে হলে যে আদালতে উক্ত অর্থ জমা দেয়া হয়েছে, সেই আদালতে দরখাস্ত দাখিল করতে হবে।

যখন কোন ব্যক্তি অর্থ অর্পণ করতে ইচ্ছুক কিন্তু অর্থ গ্রহণকারী বা তার প্রতিনিধিকে খুঁজে পাওয়া যায় না বা অর্পণকারী তাকে চিনে না তখন সেই আদালতে সে অর্থ জমা দিবে যে আদালতে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির রেহেন মুক্তির জন্য মামলা করা যেতে পারে। এভাবে জমা দেয়া হলে তা যথাযথভাবে অর্পণ করা হয়েছে বলে বিবেচিত হবে।

চুক্তি করতে অক্ষম ব্যক্তির উপর নোটিশ জারিঃ

সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ১০৩ ধারায় এ সম্পর্কে বিধি বিধান রয়েছে। এখানে বলা হয়েছে যে, যখন এই আইনের বিধান অনুযায়ী এমন ব্যক্তিকে নোটিশ দিতে বা গ্রহণ করতে, টাকা অর্পণ করতে বা গ্রহণ করতে বা আদালতে টাকা জমা দিতে বা গ্রহণ করতে বা আদালত হতে টাকা তুলে নিতে যে আইনত কোন চুক্তি সম্পাদনের অযোগ্য তখন সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির আইনসঙ্গত কিউরেটর তার পক্ষে এইরূপ নোটিশ দিতে বা গ্রহণ করতে, টাকা অর্পণ বা আমানত বা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু যেক্ষেত্রে এরূপ কোন কিউরেটর নেই এবং এই ধারার বিধান অনুসারে তার পক্ষ হতে নোটিশ প্রদান বা অর্পণ বা আমানত প্রয়োজন ও বাঞ্ছনীয় সেক্ষেত্রে যে আদালতে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির রেহেন মুক্তির জন্য মামলা দায়ের করা যায়, সেই আদালতে নোটিশ প্রদান বা গ্ৰহণ টাকা অৰ্পণ বা গ্রহণ, আমানতকরণ ও গ্রহণ বা অন্যান্য যা ঐ ব্যক্তি যোগ্য হলে করতে পারতো বা করা উচিত হতো তা করার জন্য অভিভাবক নিয়োগের দরখাস্ত করা যাবে এবং এরূপ ক্ষেত্রে ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের প্রথম তফসিলের ৩২ নম্বর আদেশ যথাসম্ভব উক্ত আবেদনের প্রতি উক্ত পক্ষসমূহ ও নিয়োগপ্রাপ্ত অভিভাবকের প্রতি প্রযোজ্য হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

টপিক