অথবা, সামাজিকীকরণ কাকে বলে?
ভূমিকাঃ মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের সদস্য হিসেবে প্রত্যেক মানুষ তার স্বীয় মর্যাদা সম্পর্কে সচেষ্ট থাকে। কারণ মর্যাদা সমাজে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়। এই মর্যাদা হলাে সমাজেরই সৃষ্টি। অর্থাৎ সমাজে প্রত্যেক মানুষেরই একটি সামাজিক পরিচিতি বা অবস্থান রয়েছে। সমাজে মানুষের এই সামাজিক পরিচিতি বা অবস্থানই হলাে মর্যাদা।
অর্জিত মর্যাদাঃ সমাজে মানুষের কিছু ব্যক্তিগত গুণাবলি থাকে। সমাজে কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ ডাক্তার, কেউ শিক্ষক, কেউ আইনজীবী, কেউ অন্যান্য পেশাজীবী। এরূপ মর্যাদা অর্জনের পেছনে বিভিন্ন বিষয় কাজ করে। যেমন ব্যক্তিগত যােগ্যতা, দক্ষতা, উদ্যোগ, প্রতিজ্ঞা, অন্তর্নিহিত গুণাবলি, কর্মক্ষমতা, কর্মপ্রতিষ্ঠা, কর্ম-প্রবণতা ইত্যাদি। আধুনিক সমাজে অর্জিত মর্যাদার গুরুত্ব ও প্রাধান্য অনেক বেশি। সমাজের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে মানুষ অর্জিত মর্যাদাকে অনেক বেশি মূল্যায়ন করে। তবে অর্জিত মর্যাদার ক্ষেত্রেও অনেক ক্ষেত্রে তারতম্য দেখা যায়। এই তারতম্য সাধারণত ব্যক্তি ও সমাজভেদে হয়ে থাকে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, সমাজের সবাই সমান বিদ্যা-বুদ্ধি ও প্রতিভার অধিকারী নয়। মানুষের চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রেও পার্থক্য আছে।
আধুনিক যুগ হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। অপরদিকে প্রতিভার বিকাশের সুযােগ সমাজের সর্বত্র সমান নয়। সমাজের কোনাে কোনাে অংশে ব্যক্তিত্ব ও কর্মপ্রচেষ্টা বিকাশের জন্য অনেক বেশি অনুকূল। সেখানে মর্যাদা অর্জন করা তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ। আবার সমাজের কোনাে কোনাে অংশ ব্যক্তিত্ব ও কর্মপ্রচেষ্টা বিকাশের জন্য প্রতিকূল। সেখানে মর্যাদা অর্জন করা তুলনামূলকভাবে অনেক কঠিন।
অর্থাৎ মর্যাদা মানবজীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষ বিভিন্নভাবে মর্যাদা অর্জন করে থাকে। তবে যে মর্যাদা মানুষ তার নিজস্ব গুণাবলির মাধ্যমে অর্জন করে, তাকে অর্জিত মর্যাদা বলে।
পরিশেষঃ পরিশেষে বলা যায়, দল সমাজের অন্যতম প্রধান উপাদান। দল সামাজিক গতিশীলতার হার বৃদ্ধি করে। দল যে সকল কার্যাবলি সম্পন্ন করে তা সমাজের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে দল গঠনের উদ্দেশ্য ইতিবাচক হতে হয়। নেতিবাচক উদ্দেশ্য দল গঠন করলে তা সমাজে গৃহীত হয় না। সৃজনশীল ও নিরীক্ষামূলক কাজে জড়িত থাকে বলে দল জনগণ দ্বারা সমর্থিত হয়। সামাজিক সমর্থন দলের জন্য জরুরি।
0 মন্তব্যসমূহ