ভূমিকাঃ যেসমস্ত উপাদান একটি জনসমাজকে ঐক্যবদ্ধ জাতীয়তাবাদে রূপান্তরিত করে, সেগুলােকে জাতীয়তাবাদের উপাদান বলে। জাতীয়তাবাদের উপাদান হিসাবে ধর্মের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জাতীয়তাবাদ গঠন ধর্মের ভূমিকাঃ জাতীয় ধারণার সৃষ্টি জোরদার করতে ধর্মগত ঐক্য কাজ করে। ধর্ম জাতীয়তাবাদ সৃষ্টির মহান উপাদান এবং এর ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীতে বহু জাতীয় রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে। অধ্যাপক গিলক্রাইষ্ট-এর মতে, “এক ধর্মাবলম্বী জনতার মধ্যে জাতীয়তাবাদের ভাবধারা মজবুত হয়। ধর্মগত ঐক্য জাতীয়তাবাদের প্রেরণা যােগায়। মধ্যপ্রাচের অধিকাংশ রাষ্ট্রের জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি হচ্ছে ধর্ম।”
ইহুদি রাষ্ট্র ইহুদি ধর্মের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠেছে। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়েছে ধর্মের ওপর ভিত্তি করে। ধর্মগত ঐক্য জাতীয়তাবাদ সষ্টির ক্ষেত্রে একান্ত আবশ্যক তা নয়। ধর্মনিরপেক্ষতা আবির্ভাবের পর ধর্মীয় অনুভূতি তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লােক বাস করে। যেমন- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ইত্যাদি।
পরিশেষঃ সুতরাং আমরা এ কথা বলতে পারি যে, জাতীয়তাবাদ গঠনে ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ধর্ম মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে সাহায্য করে। বর্তমানকালে ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাপক প্রচারণার ফলে ধর্মের গুরুত্ব দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ