ভূমিকাঃ মহান গ্রিক দার্শনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক এরিস্টটল খ্রিষ্টপূর্ব ৩৮৪ অব্দে প্রাচীন গ্রিসে জন্মগ্রহণ করেন। এরিস্টটলের নাগরিকতা বিষয়ক মতবাদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরিস্টটল তার ''The Polities" গ্রন্থের তৃতীয় অধ্যায়ে নাগরিকতা এবং তার সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্ক আলােচনা করাছেন।
এরিস্টটলের মতে নাগরিকদের যােগ্যতা ও গুণাবলিঃ নিম্নে এরিস্টটলের মতে, নাগরিকদের যােগ্যতা ও গুণাবলি আলােচনা করা হলাে-
(১) এরিস্টটলের মতে নাগরিকঃ রাষ্ট্রে বসবাসরত সকল মানুষকে এরিস্টটল নাগরিক বলেন নাই। এরিষ্টটলের মতে, তারাই নাগরিক যারা নগররাষ্ট্রের কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
(২) এরিস্টটলের মতে নাগরিকদের যােগ্যতাঃ
ক. নগর রাষ্ট্রের কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা।
খ. বিচারবিভাগীয় কাজে অংশগ্রহণ করা।
গ. শাসনসংস্থার সদস্য হিসাবে আইন প্রণয়নে সহায়তা করা।
ঘ. রাষ্ট্রিয়সভার আলােচনায় অংশগ্রহণ করা।
(৩) এরিস্টটলের মতে নাগরিকদের গুণাবলিঃ এরিস্টটলের মতে নাগরিকদের গুণাবলি দুই ধরনের। যথা-
ক. মৌলিক বা প্রয়ােজনীয় গুণাবলি।
খ. গৌণ বা কম প্রয়ােজনীয় গুণাবলি।
(১) মৌল বা প্রয়ােজনীয় গুণাবলিঃ
ক. নাগরিককে একসাথে শাসন করার এবং শাসিত হওয়ার যােগ্যতা থাকতে হবে।
খ. নাগরিককে অবশ্যই শিক্ষিত ও যােগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি হতে হবে।
(২) গৌণ বা কম প্রয়ােজনীয় গুণাবলিঃ
ক. একজন নাগরিক তার সম্প্রদায়কে রক্ষা করে।
খ. নাগরিক হতে হলে আবাসগৃহ, গােত্র বা বংশ আইনগত সুযােগ-সুবিধা প্রভৃতি থাকা অন্যতম।
পরিশেষঃ পরিশেষে বলা যায়,নাগরিককতা সম্পর্কে এরিস্টটলের মতবাদ অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু বর্তমানে বৃহৎ রাষ্ট্রে বর্তমান নাগরিকতার সাথে এরিস্টটলের নাগরিকতার কোনাে মিল নাই।
0 মন্তব্যসমূহ