ভূমিকাঃ আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের আলােচনা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অন্যতম মৌলিক বিষয়। এই স্বাধীনতা ও সাম্য এক অচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ। এই তিনটি উপাদানের প্রত্যেকে একে অপরের পরিপূরক, একটিকে ছাড়া আর একটিকে কল্পনা করা যায় না।
আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কঃ নিম্নে আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের মধ্যকার সম্পর্ক দেয়া হলাে-
আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের মধ্যে সম্পর্ক ত্রিমাত্রিক।
আইন কার্যকর না হলে স্বাধীনতার মৃত্যু ঘটে এবং সাম্য অসহায় হয়ে পড়ে। আইন, স্বাধীনতার পূর্বশর্ত। আইনহীন সমাজে স্বাধীনতা স্বপ্নমাত্র এবং সাম্য একধরনের দুঃস্বপ্ন।
স্বাধীনতা, আইন এবং সাম্য এক সূত্রে গ্রোথিতঃ সাম্য ছাড়া স্বাধীনতা অর্থহীন। সেখানে স্বাধীনতা উপভােগ করা সম্ভবপর নয়। সাম্যের পরিবেশ স্বাধীনতাকে অর্থপূর্ণ করে তুলে কোনাে সমাজে স্বাধীনতা যথেচ্ছাচার রূপ গ্রহণ করলে সেখানে সাম্যের মৃত্যু ঘটে। সুতরাং আইন-স্বাধীনতা এবং সাম্য একই সূত্রে গাঁথা। আইন প্রয়ােগে যেমন প্রয়ােজন হবে কঠোরতার, স্বাধীনতা উপভােগ তেমনি হবে উদার এবং সাম্যের ক্ষেত্র হবে মহানুভব।
সমালােচনাঃ কোনাে কোনাে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এই সম্পর্কের বিরােধীতা করেছেন। যেমন- লর্ড অ্যাক্টনের মতে, স্বাধীনতা ও সাম্য পরস্পর বিরােধী, কেননা সাম্যের শিকলে আবদ্ধ হলে ব্যক্তি স্বাধীনতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত হয়। তিনি আরও বলেছেন, সাম্যের নেশা স্বাধীনতার আশাকে ব্যর্থ করেছে।
পরিশেষঃ বস্তুত আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত। এদের একটি ছাড়া আর একটির কল্পনা করা বাতুলতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
0 মন্তব্যসমূহ