অথবা, ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের সম্পর্কগুলাে তুলে ধর।
ভূমিকাঃ সমাজবিজ্ঞানে যেসকল উল্লেখযােগ্য প্রত্যয় রয়েছে তার মধ্যে- ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব এই বিষয়গুলাে সমাজবিজ্ঞানে আলােচিত হয়ে থাকে, রাষ্ট্র, আমলাতন্ত্র, রাজনৈতিক দল ও স্বার্থগােষ্ঠী সম্পর্কিত আলােচনা পরিপ্রেক্ষিতে। কেননা রাষ্ট্র, আমলাতন্ত্র রাজনৈতিক দল ও স্বার্থগােষ্ঠী আলােচনায় ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব ওতপ্রােতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আবার অনেকে ক্ষমতা ও কর্তৃত্বকে সমার্থক শব্দ বলে ব্যবহার করে থাকে।
ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যকার সম্পর্কঃ সমার্থক শব্দ রূপে ব্যবহার, ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। কারো ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব বলতে সাধারণত একই প্রভাবকে বােঝানাে হয়ে থাকে।
একে অপরের পরিপূরকঃ যার ক্ষমতা আছে সে কর্তৃত্বের অধিকারী হয়ে থাকে। আবার একই সঙ্গে যার কর্তৃত্ব আছে সে ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকে।
রাজনৈতিক দিক হতেঃ ক্ষমতা এবং কর্তৃত্ব সাধারণত রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করা হয়ে থাকে। সুতরাং এদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান।
রাষ্ট্রের অস্তিত্বেঃ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নিরাপদ ও স্থায়ী হয় ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের সহাবস্থানের ভিত্তিতে। তাই এদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক আছে।
বৈধতার দিক হতেঃ সুসঙ্গবদ্ধ ক্ষমতা সুনিয়ন্ত্রিতভাবে যদি জনকল্যাণ নিযুক্ত হয়, তবে তা কর্তৃত্ব যুক্ত হয়ে থাকে। কাজেই ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান।
পরিশেষঃ পরিশেষে সামগ্রিক বিশ্লেষণে বলা যায়, একদিকে ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের মধ্যে যেমন মিল আছে, তেমনি তাদের মধ্যে বৈসাদৃশ্যও রয়েছে। প্রকৃত প্রস্তাবে আমরা যে বিষয়টিকে উপস্থাপন করতে পারি তা হলাে ক্ষমতার প্রয়ােগ এবং কর্তৃত্বের ধারণা সমার্থক নয়। মানবসমাজে ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের গুরুত্ব রয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ