পূর্ণতাবাদ কী?


প্রশ্নঃ পূর্ণতাবাদ কী?
অথবা, পূর্ণতাবাদ কাকে বলে? 

ভুমিকাঃ নৈতিকতার মানদণ্ড সম্পকীয় মতবাদ হিসেবে পূর্ণতাবাদের গুরুত্ব অনেক বেশি। সুখবাদ এবং বুদ্ধিবাদ এককভাবে নৈতিকতার সন্তোষজনক মানদণ্ড দিতে পারে নি। মানব স্বভাবের সাথে জড়িত বিভিন্ন বিষয়াবলির সুষ্ঠু বিবেচনা করে বলে পূর্ণতাবাদের গুরুত্ব অপরিসীম।

পূর্ণতাবাদঃ পূর্ণতাবাদ বা কল্যাণবাদ অনুসারে পূর্ণতা লাভ বা আত্মােপলব্ধিই মানব জীবনের পরম কল্যাণ। অর্থাৎ পূর্ণতা লাভ বা আত্মােপলব্ধিই নৈতিক মানদণ্ড। প্লেটো মনে করেন বুদ্ধি বা প্রজ্ঞার দ্বারা কামনা-বাসনা জাতীয় প্রবৃত্তিগুলােকে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমেই মানুষের পূর্ণতা বা কল্যাণ আসে। এরিস্টটল মনে করেন, সদগুণ অনুযায়ী মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তিগুলাের পূর্ণ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই মানুষের পূর্ণতা বা কল্যাণ আসে। তিনি মনে করেন, মানবজীবনের উৎকর্ষতা ইন্দ্রিয়জ অনুভূতির চেয়ে বুদ্ধির উপর নির্ভর করে। আধুনিক যুগে হেগেল এবং তার অনুসারীরা পূর্ণতাবাদ নিয়ে সবিস্তার আলােচনা করেছেন। মানব জীবনের অন্তর্নিহিত শক্তি বা সামর্থের পূর্ণ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই পূর্ণতালাভ বা আত্মােপলব্ধি ঘটে থাকে। সে কারণে মানুষের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশের মধ্যেই আত্মােপলব্ধি নিহিত। মানুষের ব্যক্তির পূর্ণবিকাশ বলতে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি ও জীববৃত্তি, এই উভয় বৃত্তির বিবেচনা করার বিষয়কে বােঝায়।

উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে, অনেক সময় পূর্ণতাবাদকে ব্যক্তিত্বের নীতিবিদ্যা বলেও আখ্যায়িত করা যায়। কারণ এই মতবাদ আত্মার সমর্থনের পূর্ণ বাস্তবায়নের কথা বলে। সুতরাং পূর্ণতাবাদের গুরুত্ব অপরিসীম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

টপিক