রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কে ঐতিহাসিক বা বিবর্তনমূলক মতবাদটি বর্ণনা কর


প্রশ্নঃ রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কে ঐতিহাসিক বা বিবর্তনমূলক মতবাদটি বর্ণনা কর।
অথবা, রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছে, সৃষ্টি হয়নি- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

ভূমিকাঃ ব্যুৎপত্তিগত দিক থেকে বলা যায় যে, বিবর্তনবাদ বা ঐতিহাসিক মতবাদ হচ্ছে রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কে সেই মতবাদ যা অনুসারে রাষ্ট্র একদিনে সৃষ্টি হয়নি বরং ঘাত-প্রতিঘাত ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয়েছে। একথা বলা যায় যে, রাষ্ট্রের উৎপত্তি সংক্রান্ত যতগুলাে মতবাদ আছে তন্মধ্যে ঐতিহাসিক মতবাদ বা বিবর্তনমূলক মতবাদই সঠিক ও গ্রহণযােগ্য।

মূলকথাঃ রাষ্ট্রের উৎপত্তি সম্পর্কে যতগুলাে মতবাদের অবতারণা করা হয়েছে এদের মধ্যে ঐতিহাসিক মতবাদই সর্বজনস্বীকৃত ও বিজ্ঞানসম্মত বলে বিবেচিত। এ মতবাদের মূলকথা বলতে গিয়ে গার্নার বলেছেন, 'রাষ্ট্র বিধাতার সৃষ্টিও নহে। ইহা পাশবিক শক্তির বলপ্রয়ােগের ফলেও সৃষ্টি হয়নি কিংবা পরিবারের সম্প্রসারণের ফলেও জন্ম লাভ করেনি। ইহা বিবর্তনের মধ্যে দিয়া বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়েই জন্ম লাভ করেছে।' এই মূলকথাকে বলতে গিয়েই বার্জেস বলেছেন, রাষ্ট্র মানব সমাজের প্রগতির ফল। প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্র সৃষ্টি হয় নাই, এটা ক্রমবিবর্তনের ফল। রাষ্ট্রকে কেউ তৈরি করেনি এটি ক্রমগতিতে বিকাশপ্রাপ্ত হয়েছে। যুগে যুগে নিম্নলিখিত উপাদানসমূহ রাষ্ট্র বিবর্তনের পথে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

(১) রক্তের সম্পর্কঃ আত্মীয়তা বা রক্তের সম্পর্ক মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাস করতে শিক্ষা দেয়। আগেকার দিনে এই রক্তের সম্পর্ক একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এরপর পরিবারসমূহ কালক্রমে সম্প্রসারিত হয়ে গােষ্ঠী, কয়েকটি গােষ্ঠী মিলে একটি উপজাতি, উপজাতি মিলে জাতির সৃষ্টি হয়েছে। আর এই জাতি কোনাে এক নির্দিষ্ট ভূ-খন্ডে বসবাস করে রাষ্ট্রের সৃষ্টি করেছে। তাদের মধ্যে সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্ক সৃষ্টির ফলে ঐক্য ও সংহতিবােধ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। একই বংশােদ্ভূত হওয়ার অনুভূতি, বয়ােজ্যেষ্ঠ পুরুষ বা স্ত্রীলােকের শাসন, আত্মীয়দের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক ইত্যাদি অধিকার ও কর্তব্য এবং রাজনৈতিক সংগঠনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। ম্যাকাইভার যথার্থই বলেন, 'আত্মীয়তা সমাজ সৃষ্টি করে এবং সমাজই শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্র সৃষ্টি করে।'

(২) ধর্মঃ কালক্রমে গােষ্ঠীর সংখ্যা সম্প্রসারণের ফলে রক্তের সম্পর্কের শিথিলতা দেখা দিলে ধর্মই সমাজের নব বন্ধনের সূত্র হিসেবে গণ্য হলাে। আদিম মানুষ ধর্মভয়ে ভীত ছিল। যারা অদৃশ্য শক্তির ব্যাখ্যা দিয়ে ঈশ্বর ও ধর্মের নামে অনুশাসন প্রচার করতেন তারাই ছিলেন রাজা বা শাসক। আর সবাই এই পুরােহিত তথা রাজাদের মান্য করে চলত। অধ্যাপক গ্যাটেল বলেন, রাজনৈতিক বিবর্তনের প্রাথমিক ও সংকটময় মুহূর্তে একমাত্র ধর্মই মানুষকে শ্রদ্ধা এবং আনুগত্য শিখিয়ে বর্বরােচিত অরাজকতা দমনে সাহায্য করেছিল। আধুনিককালেও দেখা যায় যে, ইংল্যান্ডের রাজশক্তি চার্চের প্রধান কর্তা ও ধর্ম বিশ্বাসের রক্ষক। বর্তমানে জাপানের রাজাও সুখদেবতার প্রধান পুরােহিত।

(৩) যুদ্ধঃ এটা রাষ্ট্রের উৎপত্তির অন্যতম প্রধান উপাদান। আগের দিনে 'Might is right' নীতি প্রবর্তিত ছিল। যার গায়ে যত জোর ছিল সে সমাজে তত আধিপত্য বিস্তার করতে পারত। এজন্যেই দেখা যায় আগেকার দিনে সাধারণত বীরেরা শাসক হতাে। বীর থাকত দলের নেতা। ক্রমাগত যুদ্ধের ফলে গােষ্ঠী, উপজাতি সব তার দখলে চলে আসত এবং সে শাসন করত অর্থাৎ রাষ্ট্রের সৃষ্টি হতাে। আর ঐ বীর হতেন চরম শাসক। এভাবে এক বলপ্রয়ােগকারী শক্তির উদ্ভব ঘটে। এই যুদ্ধনায়কই শেষ পর্যন্ত ক্রমশ সার্বভৌম শক্তিতে পরিণত হয়। মানুষ তার প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে ও ঐক্যবােধে উদ্বুদ্ধ হয়ে পড়ে।

(৪) অর্থনৈতিক কারণঃ অর্থনীতিও রাষ্ট্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণা, শ্রেণীবিভাগ ও শ্রম বিভাগ, ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণের ফলে জটিল সমস্যার উদ্ভব হয় এবং আইন প্রণয়ন ও শান্তি-শৃঙ্খলার প্রয়ােজন প্রবলভাবে অনুভূত হয়। জনৈতিক শােষণের জন্য এক শ্রেণীর ওপর অন্য শ্রেণীর প্রভাব-প্রতিপত্তি ভীষণাকার ধারণ করে। আর সংগঠিত রাষ্ট্রই মানুষের এই অভাব-অভিযােগ পূর্ণ করতে পারে। এ অবস্থায় ধন-সম্পত্তি রক্ষা করা বা এই সংক্রান্ত কোনাে বিরােধ মীমাংসার জন্য নতুন নতুন আইন তৈরি করতে হয়। তা ছাড়া সমাজে ধনবৈষম্যের ফলে বিভিন্ন শ্রেণীর সৃষ্টি হয়। তখন চৌর্যবৃত্তির বিরুদ্ধে ও উত্তরাধিকার সম্পর্কে ব্যক্তিগত বিভিন্ন আইন প্রণয়নের প্রয়ােজনীয়তা দেখা দেয়। এদিকে পণ্য বিনিময় ব্যবস্থার উন্নতির ফলে বাণিজ্যের প্রসার ঘটে ও বণিক শ্রেণীর উদ্ভব ঘটে। বাণিজ্যের প্রসারের ফলে বিরােধ সংযত রাখার জন্য আইন প্রণয়ন ও প্রশাসন যন্ত্রের সৃষ্টি অপরিহার্য হয়ে পড়ে।

(৫) রাজনৈতিক চেতনাঃ এটাও রাষ্ট্র সৃষ্টিতে একটি উল্লেখযােগ্য ভূমিকা পালন করেছে। যেদিন থেকে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে শুরু করেছে সেদিন হতে মানুষের মধ্যে এক অপরিণত রাজনৈতিক চেতনা কাজ করছিল। এই রাজনৈতিক চেতনাই মানুষকে রাষ্ট্র গঠনে সহায়তা করেছে। রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষ ঘটার সঙ্গে সঙ্গে উপজাতীয় সংহতি সাধিত হয়। আক্রমণ ও প্রতিরক্ষার জন্য উপজাতীয় নেতার প্রতি আনুগত্য বেড়ে যায় এবং নেতার নির্দেশকে আইন হিসেবে মেনে চলার প্রবণতা দেখা যায়।

রাষ্ট্রের ঐতিহাসিক বিবর্তনঃ রাষ্ট্রের উৎপত্তি সংক্রান্ত মতবাদসমূহ পর্যালােচনা শেষে বলা যায় যে, রাষ্ট্র নামক প্রাতষ্ঠানটি দীর্ঘপথ পরিক্রমা অতিক্রম করে বর্তমান অবস্থায় এসে উপনীত হয়েছে। মানুষ যেমন আদিম অবস্থা হতে ক্রমিববর্তনের মাধ্যমে আধুনিক সভ্যতার দোর গােড়ায় এসে উপনীত হয়েছে, তেমনি রাষ্ট্রও বিভিন্ন ধাপ বা পর্যায় অতিক্রম করে আধুনিকতা লাভ করেছে। তবে বিবর্তনের এই ধারা কিন্তু সকল সময়ে একই রকম ছিল না।

অধ্যাপক গেটেল-এর মতে, রাষ্ট্র মােট দুটি পর্যায় অতিক্রম করে বর্তমান অবস্থানে এসেছে। এগুলাে হলাে- (১) গােত্র রাষ্ট্র, (২) প্রাচ্য রাষ্ট্র, (৩) গ্রিক নগররাষ্ট্র, (৪) রােমান বিশ্ব সাম্রাজ্য, (৫) সামন্ত রাষ্ট্র এবং (৬) জাতীয় রাষ্ট্র। নিম্নে রাষ্ট্রের ঐতিহাসিক বিবর্তনে গেটেল নির্দেশিত পর্যায়সমূহ সংক্ষিপ্তাকারে বর্ণনা করা হলাে-

(১) গােত্র রাষ্ট্রঃ রাষ্ট্র নামক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানটির পথ চলা শুরু হয় গােত্র রাষ্ট্রের মাধ্যমে। কতকগুলাে পরিবারের সমন্বয়ে গােত্র রাষ্ট্র গঠিত হতাে। অর্থাৎ পরিবার হলাে গােত্র রাষ্ট্রের মূল একক। গােত্রপতি প্রাধান্য বিস্তারের মাধ্যমে স্বীয় কর্তৃত্ব স্থায়ী করে। গােত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ধর্ম এবং আত্মীয়তার বন্ধন মূল ভূমিকা পালন করেনি, করেছে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নেতৃত্ব। নেতা বা গােত্রপতির আদেশ মান্য করার মধ্যদিয়ে জন্ম লাভ করে গােত্র রাষ্ট্র। এভাবেই গঠিত হয় গােত্ররাষ্ট্র।

(২) প্রাচ্য সাম্রাজ্যঃ গােত্র রাষ্ট্রের পরে আসে প্রাচ্য সাম্রাজ্য। নীল নদ, ফোরাত, দোজলা, গঙ্গা প্রভৃতি অঞ্চলের উর্বর ভূমিতে রাজনৈতিক সংগঠনের নমুনা পাওয়া যায় এবং এই উর্বর ভূমিগুলােই পরবর্তীতে সভ্যতার সুতিকাগারে পরিণত হয়। বসবাসের সুবিধা এবং কৃষিকাজের নিমিত্তে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে এসব স্থানে বসতি গড়ে তুলতে শুরু করে। একত্রে বসবাস করার মাধ্যমে তারা নিজেদের শক্তিশালী করে এবং রাষ্ট্র গঠন করে। এভাবেই গড়ে ওঠে মিসর, ব্যাবিলন, সিরিয়া প্রভৃতি সাম্রাজ্য।

(৩) গ্রিক নগররাষ্ট্রঃ খ্রিষ্টের জন্মের পূর্বে গ্রিসে নগররাষ্ট্রের বিস্তার ঘটে। মূলত ইউরােপের উপদ্বীপ অঞ্চলে ছােট প্রকৃতির রাষ্ট্র হিসেবে নগররাষ্ট্র গড়ে ওঠে। গ্রীসের অনুকূল ভৌগােলিক পরিবেশ এসব রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিল। প্রাকৃতিক কারণে এসব স্থানে মানুষ বসতি স্থাপন করে গ্রাম গড়ে তােলে এবং সমগ্র গ্রাম মিলিত হয়ে একক রাষ্ট্র গঠন করে। এই সকল রাষ্ট্রই কালক্রমে নগররাষ্ট্রে পরিণত হয়। প্রাচীন গ্রীসের আবহাওয়া এ জলবায়ু নগর রাষ্ট্রের অনুকূলে থাকায় এ ধরনের রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে।

(৪) রােমান বিশ্ব সাম্রাজ্যঃ রাজনৈতিক উন্নয়নের ধারা গ্রিস হতে রােমে অনুপ্রবেশ করে এবং সেখানেও পর্যায়ক্রমে নগর রাষ্ট্রের বিস্তার ঘটে। অভিজাতগণ রাজতন্ত্রকে বিতাড়ন এবং সিনেট বা সংসদ রাজার ক্ষমতাকে খর্ব করে গণতান্ত্রিক শাসনের সূত্রপাত করে। কালক্রমে ভৌগােলিক আয়তন বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে থাকায় নগররাষ্ট্রের শাসনতন্ত্র অচল প্রমাণিত হয় এবং গণতন্ত্রের ভাবাধারা বিঘ্নিত হয়। বাস্তবে দেখা যায়, ক্ষমতা অভিজাতদের ওপরই অর্পিত হয়। কেন্দ্রীভূত সংগঠন, কর্তৃত্বের একত্রীকরণ, আইনের একরূপতা প্রভৃতি কারণে বিস্তৃত রােমান সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে। রােমান সাম্রাজ্যের মাধ্যমেই কেন্দ্রীয় সার্বভৌম সংগঠনের দায়িত্ব আইনের সমরূপতা, বিশ্বশান্তি প্রভৃতি বিষয় জন্ম ও বিস্তার লাভ করে।

(৫) সামন্ত রাষ্ট্রঃ শক্তির বলে রাষ্ট্র বা সাম্রাজ্য গড়ে ওঠলেও তা যে স্থায়ীরূপ লাভ করতে পারে না তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রােমান সাম্রাজ্যের ভাঙন। প্রবল টিউটোনিক বর্বরদের আক্রমণে রােমান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে। আক্রমণকারীরা তাদের গােত্রের মধ্যে ভাগ করে নেয়। এ সময় ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবাদ, স্বাধীনতা ও স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের বিকাশ ঘটে এবং ব্যবসায়-বাণিজ্যের পরিবর্তে ভূমিব্যবস্থাকে প্রধান সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হতাে। ফলে সামন্তবাদের বিস্তার ঘটে এবং ভূস্বামী প্রকৃত শাসককে এবং জনগণও তাদের দাসে পরিণত হয়।

(৬) জাতীয় রাষ্ট্রঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী গেটেল নির্দেশিত রাষ্ট্রের বিবর্তনের সর্বশেষ পর্যায় হলাে জাতীয় রাষ্ট্র। রেনেসার আগমনে এ সময় এক বিশেষ রাজনৈতিক ভাবধারার বিকাশ ঘটে। সাধারণের স্বার্থ, জাতীয়তা, ভাষা, ভৌগােলিক ইস্যু প্রভৃতি কারণে জাতীয় রাষ্ট্রের বিকাশ ঘটে। অর্থাৎ সামন্ত রাজার পরিবর্তে আসে জাতীয় রাষ্ট্র। যার প্রধান কর্তৃক অর্পিত হয় চরম বাজার ওপর। ইংল্যান্ডের রাজা টিউডর, স্পেনের পঞ্চম চার্লস এবং ফ্রান্সের চতুর্দশ লুই ছিলেন এ ধরনের রাজা। উনবিংশ শতাব্দীতে গণতন্ত্রের উন্মেষ সাধিত হয় এবং জাতীয় রাষ্ট্রের বিকাশ ঘটে। স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন, লিখিত শাসনতন্ত্র, সামাজিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, তথা মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি প্রভৃতির মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিফলিত হয়। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবাধ চিন্তাধারার জন্ম দেয় জাতীয় রাষ্ট্র। জাতিসত্তাই হলাে জাতীয় রাষ্ট্র গঠনের মূল উপাদান।

পরিশেষঃ পরিশেষে বলা যায় যে, বিবর্তনবাদ অন্যান্য মতবাদের মতাে একদেশদর্শী নয় বরং সম মতবাদগুলির সমন্বয় মাত্র। যেমন- যুদ্ধের মধ্যে বলপ্রয়ােগ মতবাদ, ধর্মের মধ্যে ঐশ্বরিক মতবাদের মূলকথা নিহিত রয়েছে। সুতরাং বলা যায় যে, রাষ্ট্র কোন একক উপাদানের দ্বারা সৃষ্ট নয় বরং সকল উপাদানের বিবর্তিত ফল মাত্র। অতএব বলা যায় যে, সভ্যতার সূচনালগ্ন তথা আদিম অবস্থা হতে বহু পথ অতিক্রম করে রাষ্ট্রব্যবস্থা বর্তমান অবস্থায় এসে উপনীত হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

টপিক