অথবা, প্রাণ বা জীবন বলতে কী বুঝ?
ভূমিকাঃ আমাদের এই প্রাকৃতিক জগতে জড় ও জীবন্ত বস্তুর
এক বিপুল সমাবেশ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। এসব জড় ও জীবন্ত বস্তু নিরন্তর পরস্পরের ওপর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া করে পরস্পরের পরিবর্তন সাধন করে। নিম্নে প্রাণ/জীবনের বৈশিষ্ট্য আলােচনা করা হলাে-
এক বিপুল সমাবেশ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। এসব জড় ও জীবন্ত বস্তু নিরন্তর পরস্পরের ওপর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া করে পরস্পরের পরিবর্তন সাধন করে। নিম্নে প্রাণ/জীবনের বৈশিষ্ট্য আলােচনা করা হলাে-
প্রাণ বা জীবনঃ প্রাণ বলতে আমরা এমন শক্তিকে বুঝি, যার বলে জীবনের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিকাশসাধন, ঐক্য স্থাপন, দেহের ক্ষয়ক্ষতি পূরণ, পরিপার্শ্বিকের সাথে দেহের সামঞ্জস্য বিধান, দেহ থেকে দেহের উৎপাদন অর্থাৎ বংশবৃদ্ধি প্রভৃতি কার্য সাধিত হয়ে থাকে।
প্রাণের লক্ষণঃ প্রাণের বহুবিধ লক্ষণ রয়েছে। নিম্নে প্রাণের লক্ষণসমূহ আলােচনা করা হলাে-
(১) প্রাণের খাদ্যের প্রয়ােজন হয়। এ খাদ্য সে বাইরের পরিবেশ হতে আহরণ করে নিজ দেহের ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে জীবদেহের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
(২) প্রাণের সঞ্চালনক্ষমতা আছে। এ সঞ্চালনক্ষমতার সাহায্যে প্রাণ তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আবশ্যিক পরিবর্তন সাধন করে।
(৩) প্রাণ তার নিজ দেহের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে সক্ষম।
(৪) প্রাণ উদ্দীপকের ডাকে সাড়া দিতে পারে।
(৫) প্রাণ নিজেকে বিভাজন করে বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে উত্তরাধিকার রেখে যায়।
(৬) প্রাণ তার নিজ দেহের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সামস্য বিধান করে নিজের কল্যাণ সাধন করতে পারে।
(৭) প্রাণ জড়াশ্রয়ী। প্রাণকে জীবন ধারণ করতে হলে কোন জড় দেহকে আশ্রয় করেই করতে হয়। প্রাণ শূন্যে ভেসে থাকতে পারে না।
(৮) প্রাণের পরিবেশ-পারিপার্শ্বিকের সাথে উপযােজন করে চলার ক্ষমতা আছে।
(৯) প্রাণের বিভাজনক্ষমতা আছে। প্রাণ নিজেকে অন্যের মধ্যে সংক্রমিত করে তার বংশ বিস্তার করে।
পরিশেষঃ সবশেষে আমরা বলতে পারি যে, প্রাণ বা প্রাণবাদ সম্পর্কিত আলােচনা দর্শনের এক গুরুত্বপূর্ণ মতবাদ বলে বিবেচিত হয়। সুতরাং আমাদের প্রাণ/জীবন সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা উচিত।
0 মন্তব্যসমূহ