অথবা, কর্তৃত্ব কী?
ভূমিকাঃ সমাজবিজ্ঞানে আলােচিত যেসকল গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয় রয়েছে তার মধ্যে কর্তৃত্ব অন্যতম। আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে কর্তৃত্ব একটি বহুল আলােচিত বিষয়। বিশ্ব ভূমণ্ডলের কর্তৃত্ব নিয়ে শুরু হয়েছে অরাজকতা। যদিও সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে কর্তৃত্বের আলােচনা একটু ভিন্ন। মানুষের মর্যাদা নির্দেশনা প্রদানের ক্ষমতা সবকিছুই কর্তৃত্বের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে থাকে।
কর্তৃত্বঃ কর্তৃত্ব সাধারণত বৈধভাবে অর্জিত হয়ে থাকে। কর্তৃত্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থায় খুবই গুরুত্বসহকারে বিবেচিত হয়ে থাকে। জনসাধারণের সহজ ও স্বাভাবিক স্বীকৃতির ওপর ভিত্তি করেই কর্তৃত্বের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ কর্তৃত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন তাত্ত্বিক ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কর্তৃত্বের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিম্নে উল্লেখযােগ্য কয়েকটি সংজ্ঞা তুলে ধরা হলাে-
কর্তৃত্বের সংজ্ঞা প্রদান করতে গিয়ে ফেরেল (Freel) বলেন, “আদেশ দান এবং উক্ত আদেশ পালনে বাধ্য করার অধিকার ও ক্ষমতাকে কর্তৃত্ব বলা হয়।
বি.ডি. জুভেলিন (B. D. Jouvene) এর মতে, কর্তৃত্ব হলাে সম্মতিদানে প্ররােচিত করার দক্ষতা, এটি হচ্ছে কর্তৃত্বকে অনুসরণ করা ঐচ্ছিক সাধন। এ ঐচ্ছিক সম্মতি শেষ হলে কর্তৃত্বও শেষ হয়।
রবার্ট ডাল (Robert Dull)-এর মতে, কর্তৃত্ব বলতে বৈধ প্রভাবকে বােঝানাে হয়ে থাকে।
ডেভিড পােপিনাে (David Popenoe) এর মতে, কর্তৃত্ব হচ্ছে বৈধ ক্ষমতা, যেটি চরিত্রগত দিক থেকে প্রাতিষ্ঠানিক।
পরিশেষঃ পরিশেষে বলা যায় যে, কর্তৃত্ব হচ্ছে এক ধরনের বৈধ ক্ষমতা কিন্তু অবৈধভাবে কোনােপ্রকার প্রভাব খাটানাে কর্তৃত্বের আওতায় পড়বে না। অবৈধভাবে ক্ষমতা প্রয়ােগ কর্তৃত্ব নয় বরং-তা হলাে জবরদস্তি।
0 মন্তব্যসমূহ