উত্তরঃ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘চিলেকোঠার সেপাই' উপন্যাসের তথ্য থেকে জানা যায়- লতিফ সর্দার খারাপ প্রকৃতির লােক ছিল। মহল্লার বেশির ভাগ মানুষ তাকে অপছন্দ করত তার বিভিন্ন অপকর্মের কারণ। এজন্য পাকিস্তান মাঠের মিটিং এ সে উপস্থিত হলে লােকজন চটে যায়।
মহল্লায় বসবাস লতিফ সর্দারের। তার বয়স ৭০ এর কাছাকাছি, এর বেশির ভাগ সময় কেটেছে নবাব বাড়ির আশেপাশে ঘুরঘুর করে। পাবলিকের মতে সর্দার দশ বছর মহল্লাটারে জ্বালিয়ে খেয়েছে। এ্যার দোকান দখল করে, আর দোকান উঠিয়ে নিজের ভাইরে বসায়। একটা স্কুলের নামে সরকার জায়গা দিয়েছিল, সর্দার নিজে ওই স্কুল কমিটির প্রেসিডেন্ট। স্কুল বাদ দিয়ে ঐ জায়গার মধ্যে সর্দার মার্কেট বানিয়ে দিয়েছে। ছেলের নামে, বিবির নামে, ভাই ভাইপাের নামে মহল্লার মধ্যে রেশনের দোকান রেখে দিয়েছে। আবার রেশনের দোকানে মাল নেই, মাল সব রাখে নিজের বাড়িতে খরিদ্দার গেলে মাল নেই বলে জানায়। চিনি-গম-চাল-তেল সবই কালােবাজারে বিক্রি করে।
এ সবের কারণে মিটিং এ লতিফ সর্দার উপস্থিত হলে লােকজন চটে যায়।
0 মন্তব্যসমূহ