পার্থক্যের বিষয় | বাংলাদেশ বার কাউন্সিল | বার এসােসিয়েশন |
(১) সংজ্ঞাগত পার্থক্যঃ | সমগ্র বাংলাদেশের আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত এসােসিয়েশনকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল বলে। | বিভিন্ন জেলার আইনজীবীদের সমিতিকে বার এসােসিয়েশন বলে। |
(২) সংখ্যাগত পার্থক্যঃ
| বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা ১৫ জন।
| বার এসােসিয়েশনের সদস্য সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়। বিভিন্ন বার এসােসিয়েশনের সদস্য সংখ্যা ভিন্ন ভিন্ন। |
(৩) সভাপতি নির্বাচনগত পার্থক্যঃ | এটর্নি জনারেল পদাধিকার বলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সভাপতি বা চেয়ারম্যান হন। | সংশ্লিষ্ট বারের আইনজীবীদের প্রত্যক্ষ ভােটে বার এসােসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। |
(৪) সহসভাপতি নির্বাচনগত পার্থক্যঃ | বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যদের দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তাদের মধ্য থেকে একজন সহ-সভাপতি নির্বাচিত হবেন। | সংশ্লিষ্ট বারের আইনজীবীদের প্রত্যক্ষ ভােটে বার এসােসিয়েশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
|
(৫) সচিব বা সেক্রেটারি নির্বাচনগত পার্থক্যঃ | সরকার কর্তৃক নিয়ােগকৃত কোন জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার কোন কর্মকর্তা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব/সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। | সংশ্লিষ্ট বারের আইনজীবীদের প্রত্যক্ষ ভােটে বার এসােসিয়েশনের সেক্রেটারি নির্বাচিত হন।
|
(৬) কার্যকালগত পার্থক্যঃ | বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের কার্যকাল ৩ বছর। | বার এসােসিয়েশনের কার্যকাল ১ বছর। |
(৭) সনদ প্রদানগত পার্থক্যঃ | বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইনজীবীদের সনদ প্রদান করে। | বার এসােসিয়েশন আইনজীবীদের সনদ প্রদান করে না।
|
(৮) সনদ বাতিলগত পার্থক্যঃ | বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইনজীবীদের সনদ বাতিল করতে পারে। | বার এসােসিয়েশন আইনজীবীদের| সনদ বাতিল করতে পারে না। |
(৯) বিধি প্রণয়নগত পার্থক্যঃ | বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইনজীবীদের জন্য বিধি-বিধান প্রণয়ন করে। | বার এসােসিয়েশন আইনজীবীদের জন্য বিধি-বিধান প্রণয়ন করতে পারে না। |
(১০) নিয়ন্ত্রণগত পার্থক্যঃ | বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সমগ্র বাংলাদেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণ করে। | বার এসােসিয়েশন সমগ্র বাংলাদেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। |
(১১) স্বীকৃতিগত পার্থক্যঃ | বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি প্রতিষ্ঠান। | বার এসােসিয়েশন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান নয়।
|
0 মন্তব্যসমূহ