উত্তরঃ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘চিলেকোঠার সেপাই' উপন্যাসের একাদশ পরিচ্ছেদে লেখক আন্দোলনকে আরো স্পষ্ট করে আনেন। ভিক্টোরিয়া পার্কের সমাবেশে সর্বদলীয় মিটিং।
গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে শরিক নানা পক্ষকে অন্তত জাতীয়তাবাদী আর বামপন্থি অংশকে মােটামুটি স্পষ্ট করে চেনা যায়। এখানেও ইলিয়াস স্থানটাকে চোখের সামনে ছবি আকারে ধরিয়ে দেন। সমবেত জনতার নানা ভাগ আর সামষ্টিক জটলাকে যথাসম্ভব মূর্তিমান করার চেষ্টা করেন। চেনা লােকগুলােকে মিটিংয়ের ভাঁজে ভাঁজে দাখিল করার ফাঁকে ফাঁকে মানহীন দুই বার মূল কথাগুলাে বক্তৃতার আকারে শুনিয়ে দেন। তাতে দুই ভিন্ন মত পথের কথায় আমরা তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ পরিষ্কার করে বুঝতে পারি। স্লোগান থেকেও অন্তত দুই গ্রুপের আলাদা অস্তিত্ব চেনা যায়। বামপন্থিরা শ্লোগান দিচ্ছে দক্ষিণ দিকের, গেটের পামগাছের নিচে’র জটলা থেকে; আর জাতীয়তাবাদীরা বেদীর নিচের জটলা থেকে। এসব ফারাক অবশ্য একাকার হয়ে যাচ্ছে মাঝেমধ্যেই জালিম সরকারের দুঃশাসন আর পাকিস্তানি শােষণের বর্ণনায় শ্লোগানে। নামহীনভাবে আস্ত মিটিংটাকে এভাবে চিনিয়ে দেওয়ার পর লেখক চেনা এলাকায় প্রবেশ করেন। সেখানে আলাউদ্দিন মিয়া, আনােয়ার, ওসমান, আলতাফ, খিজির, মকবুল হােসেন মােটামুটি প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করে যায়।
0 মন্তব্যসমূহ