“সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর উপন্যাসে কেবল ব্যক্তি ও সমাজ বর্ণিত হয়নি, ব্যক্তি ও সমাজের অন্তর্নিহিত জটিলতাও চিত্রিত হয়েছে।” উক্তিটি আলােচনা কর



প্রশ্নঃ “সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর উপন্যাসে কেবল ব্যক্তি ও সমাজ বর্ণিত হয়নি, ব্যক্তি ও সমাজের অন্তর্নিহিত জটিলতাও চিত্রিত হয়েছে।” উক্তিটি আলােচনা কর।

উত্তরঃ সমাজ সচেতন কথাসাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ [১৯২২-১৯৭১] সৃষ্টিশীল সত্তার সাফল্য, খ্যাতি ও সিদ্ধি মূলত ঔপন্যাসিক হিসেবে। জীবন সন্ধানী এই শিল্পী ব্যক্তিজীবন ও সমাজসমস্যাকে করেছেন তার সৃজনকর্মের উপজীব্য। তার রচনায় উজ্জ্বলভাবে প্রতিফলিত হয়েছে ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কার, মূল্যবােধের অবক্ষয়, মানব মনের অন্তদ্বন্দ্ব প্রভৃতি। জীবন নিষ্ঠা, আধুনিক শিল্প প্রকরণ, তীব্র শৈল্পিক সচেতনতা, সংযম ও পরিমিতিবােধ তার ঔপন্যাসিক প্রতিভার মূল বৈশিষ্ট্য। তার উপন্যাসে সাহিত্যে শুধু ব্যক্তি ও সমাজের চিত্ৰই বর্ণিত হয়নি- বর্ণিত হয়েছে ব্যক্তি ও সমাজের অন্তর্নিহিত জটিলতা।

‘লালসালু' উপন্যাসে ভাগ্যান্বেষী মজিদের জীবনের প্রতিষ্ঠা, প্রাপ্তি ও সংগ্রামের কাহিনি নির্মাণ করতে গিয়ে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ পূর্ব-বাংলার গ্রামীণ সমাজের শৈল্পিক চিত্র অঙ্কন করেছেন। এ উপন্যাসে এমন এক গ্রামীণ সমাজের চিত্র তিনি এঁকেছেন যেখানে পূর্ব-বাংলার কৃষিভিত্তিক শ্রমনিষ্ঠা, সরল ধর্মপ্রাণ মুসলমান সমাজের মানুষ বিভ্রান্ত হয় ধর্মব্যবসায়ীদের দ্বারা। উপন্যাসটিতে উপন্যাসের প্রধান চরিত্র মজিদের মহব্বত নগরে আগমন, আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্য মােদাচ্ছের পীরের মাজার ব্যবহার, গ্রামবাসীদের প্রতারিত করে মজিদের জোত-জমি দখল, রহীমা ও জমিলাকে বিয়ে করা, ধর্মের প্রতি নিজে নিষ্ঠ না হয়ে গ্রামবাসীদের চিত্তে কৌশলে ধর্মভাব জাগিয়ে তাদের শাসন ও শােষণ করা, সাত ছেলের বাপ দুদু মিঞাকে অপমান করা, তাহের-কাদেরের বাপকে বিতাড়ন করা, আক্কাসের স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে ব্যর্থ করা, পার্শ্ববর্তী গ্রামের পীরের সাথে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে লিপ্ত হওয়া, জমিলাকে ঝড়বৃষ্টির রাতে মাজারের পাশে খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে। এ উপন্যাসের কাহিনিবৃত্তে সকল ঘটনাতেই মনােজটিলতা এবং সমাজজটিলতার সুরটি স্পষ্ট।

‘লালসালু' উপন্যাসের ঘটনা বিন্যাসে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কোনাে প্রথাবিরুদ্ধ কাহিনি সংস্থাপন-রীতিকে প্রাধান্য দেননি। বাংলা উপন্যাসের প্রচলিত ও সাধারণভাবে অনুসৃত পদ্ধতিই তিনি অনুসরণ করেছেন। উনিশ শতকীয় এবং ভিক্টোরীয় উপন্যাসে গৃহীত ঘটনা বিন্যাস অর্থাৎ ক্রম বিকাশগত পারম্পর্য, আদি-মধ্য ও অন্য সম্বলিত এরিস্টটলীয় ত্রিনীতি অবলম্বী প্লট বিন্যাস কৌশলকে উপজীব্য করেই ‘লালসালু' উপন্যাসটি রচিত হয়েছে। ফলে ঘটনা বিন্যাস-প্রক্রিয়া ও প্রবাহ এবং মুখ্য চরিত্রের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা উপস্থাপনে ‘লালসালু উপন্যাসটি একটি সার্থক উপন্যাস।

‘চাঁদের অমাবস্যা' [১৯৬৪] সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর দ্বিতীয় উপন্যাস। 'লালসালু’র পাশে চাঁদের অমাবস্যা' উপন্যাস হিসেবে পুরােপুরি নিরীক্ষাধর্মী। ‘লালসালু’ সমাজমনস্ক উপন্যাস। এতে ব্যক্তি ও জনজীবনের চিত্র প্রচুর ও বিপুলভাবে আকীর্ণ। কিন্তু ‘চাদের অমাবস্যা’ ভিন্নধর্মী উপাদানে সমৃদ্ধ। এ উপন্যাসের যে কাহিনি তা জীবনের একটি সাধারণ বৃত্তান্ত বা চিত্র মাত্র নয় এবং পরিস্থিতির অভিনবত্ব ব্যক্তি মানুষের চিত্তে মনােজাগতিক যে সংকট ও আলােড়ন সৃষ্টি করে তার জটিল বুননিকে ফুটিয়ে তােলাই এখানে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর লক্ষ্য।

এ উপন্যাসের কাহিনির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি যুবতী নারীর মৃত্যু এবং জ্যোৎস্নাপ্লাবিত রাত্রে, বাঁশঝাড়ের ভেতরে তার মৃতদেহ আবিষ্কার। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সফল ঔপন্যাসিকের শক্তিশালী লেখনী দিয়ে এই ঘটনাকে উপস্থাপিত করেছেন, আরেফ আলীর জীবন-ভাষ্য রচনায়। তার চরিত্রের মানস-পরিক্রমা ও বিশ্লেষণের ধারাতেই অগ্রসর হয়েছে উপন্যাসের কাহিনি। তার সত্রপাত হয়েছে তখনই যখন সে আকস্মিকভাবে একটি অভাবিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। জ্যোৎস্নাপ্লাবিত রাত্রে, বাঁশঝাড়ের মধ্যে যুবতী নারীর মৃতদেহ দর্শন তার নিরাবেগ জীবন প্রবাহের আকস্মিক ছন্দপতন ঘটায়। আরেফ আলী ঘটনা কেন্দ্রিক জটিলতায় আক্রান্ত হয় এবং তাকে অতিক্রম করতে গিয়ে তার দ্বন্দ্বময় আবেগের সূচনা হয়। শুরু হয় তার আত্ম-দ্বন্দ্ব ও আত্ম-জিজ্ঞাসা। মূল ঘটনাকেন্দ্রিক সেই আত্মসমীক্ষাকেই সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ আধুনিক কথাশিল্পীর দক্ষতা সহকারে ফুটিয়ে তুলেছেন। উপন্যাসটি বস্তুত কেন্দ্রীয় চরিত্র আরেফের সদ্য জাগ্রত বিবেকের উজ্জীবিত চেতনার স্বাক্ষর। এই জীবনচেতনার রূপায়ণে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ আমাদের উপন্যাসের ঐতিহ্যগত কাঠামােতে ঘা দিয়েছেন এবং সাহসী শিল্পীর সৃজনশীলতা নিয়ে এ উপন্যাসে ঐতিহ্য এবং উদ্ভাবনকে সমন্বিত করেছেন।

উপন্যাসটির শুরুতেই কেন্দ্রীয় চরিত্র আরেফের জীবনের মহা ঘটনাটি ঘটে গেছে। অতি সংক্ষিপ্ত কাহিনিসূত্র এ উপন্যাসের। কোপন নদীর তীরবর্তী চাঁদপরা গ্রামের জনৈক যুবক শিক্ষক আরেফ আলী শীতের এক উজ্জ্বল জ্যোত্সা রাতে ঘর ছেড়ে বেরিয়েছিল প্রাকৃতিক প্রয়ােজনে। প্রয়ােজন মিটিয়ে ঘরে ফিরে না গিয়ে সে চন্দ্রালােকিত রজনীর রূপরাশিতে মােহাবিষ্ট হয়। হঠাৎ ছায়া-শরীরের আকর্ষণে সে গ্রাম-পথে বেড়িয়ে পড়ে। বাশঝাড়ে নিহত এক রমণীর লাশ ঘটনাটি আরেফ আলীর মনােলােকে আলােড়ন তােলে। প্রকৃত ব্যাপারটি ছিল আরেফ আলী গ্রামের যে বড়বাড়ির গৃহশিক্ষক সেই বড়বাড়িরই অন্যতম কর্তাপুরুষ আরেফ আলী নিম্নশ্রেণির এক রমণীকে সম্ভোগের উদ্দেশ্যে বাঁশঝাড়ে যায়; 'আরেফ সেই কাদেরকেই অনুসরণ করছিল। আরেফের পদ শব্দে ভয় পেয়ে কাদের রমণীটিকে গলাটিপে হত্যা করে। উপন্যাসের সিংহভাগ ব্যয়িত হয়েছে আরেফ আলীর মনে উক্ত ঘটনার প্রতিক্রিয়া বর্ণনায়। শেষপর্যন্ত ঘটনাটি সে দাদাসাহেবু পুলিশকে জানায়। পুলিশ জেনে-শুনেই কাদেরের বদলে তাকে খুনী সাব্যস্ত করে।

‘কাঁদো নদী কাঁদো' (১৯৬৮) সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর তৃতীয় উপন্যাস। উপন্যাসটি আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন ও বস্তুনিষ্ঠ ঔপন্যাসিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর বিচিত্র সৃষ্টিশীল ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও জীবন-জিজ্ঞাসার শেষ স্বাক্ষর। তার ‘লালসাল' ও ‘চাদের অমাবস্যা' উপন্যাসে সামাজিক বাস্তবতা পরিস্ফুটনের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তির মনােজগতের অভিব্যক্তি অঙ্কনের যে প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয়েছে তা ‘কাঁদো নদী কাঁদো' উপন্যাসে আরাে সুস্পষ্ট। উপরন্তু, তাতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। ব্যক্তির মনােজাগতিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ‘লালসালু’তে কিছুটা এবং ‘চাঁদের অমাবস্যা’য় উল্লেখযােগ্য মাত্রায় রূপায়িত হয়েছে। কিন্তু ‘কাঁদো নদী কাঁদো' উপন্যাসে ব্যক্তির মনােজাগতিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি জনগােষ্ঠীর মানসলােকের ক্রিয়া, প্রতিক্রিয়াকেও মূর্ত করে তােলা হয়েছে। প্রথম দু’টি উপন্যাসের স্থানগত পটভূমি কেবল গ্রাম এবং সেগুলােতে চিত্রিত হয়েছে গ্রামজীবন। পক্ষান্তরে ‘কাঁদো নদী কাঁদো' উপন্যাসের স্থানগত পটভূমি একাধারে গ্রাম ও গঞ্জ-শহর। এ উপন্যাসে মুহাম্মদ মুস্তফার নিজের গ্রাম ও সেখানকার জীবনচিত্র যেমন এসেছে তেমনি গঞ্জ-শহর কুমুরডাঙ্গা ও সেখানকার জনজীবনের দ্বন্দ্বজটিল চিত্র ও অঙ্কিত হয়েছে।

‘কাঁদো নদী কাঁদো' উপন্যাসটির কাহিনি গড়ে উঠেছে নদীপথে স্টিমার-যাত্রার চিত্র-অঙ্কনের মাধ্যমে। সংকীর্ণ নদীপথে স্টিমার এগিয়ে চলে। অপরাহ্নের ম্লান আলোয় ভিড় আর গরমে স্টিমারে ডেকে বসা যাত্রীরা যখন সবাই অস্বস্তিতে আক্রান্ত, কেউ কেউ আধাে-ঘুম-আধাে-জাগরণে আচ্ছন্ন, তখন ঝিমিয়ে পড়া ডেকটিতে গল্প-কথার আসর বসে। একজন কথক আপনমনে নানা কথা বর্ণনা করে যায়। সহযাত্রী শ্রোতা জনৈক ‘আমি’ তাকে লক্ষ করে এবং তার মুখে একটি শহরের নাম শুনে সে চমকে যায়। এরপর কথক লােকটি ও কথক ‘আমি’-এ দু’জনের কাহিনি বর্ণনা ও স্মৃতিচারণের ভেতর দিয়ে উপন্যাসের কাহিনি এগিয়ে যায়।

‘আমি’ নামক কথকের স্মৃতিচারণের মাধ্যমে ব্যক্ত কাহিনিতে জানা যায় মুহাম্মদ মুস্তফার বাল্য, কৈশাের ও যুবক বয়সের জীবনবৃত্তান্ত। মুস্তফার দুবৃত্ত পিতা জীবকালে তার একমাত্র ভাগ্নী মাতৃহারা খােদেজার সঙ্গে মুস্তফার বিয়ে ঠিক করে। কিন্তু মুস্তফা উচ্চ শিক্ষিত হয়ে হাকিমের চাকরি গ্রহণ করার পর শহরের একটি মেয়েকে বিয়ে করবে বলে ঠিক করে। এ খবর চিঠির মাধ্যমে সে বাড়িতে জানায়। ঘটনাক্রমে খােদেজা সেদিন পুকুরে ডুবে মারা যায়। বাড়ির লােনে ধারণা, এটা আত্মহত্যা এবং তার জন্য মুস্তফাই দায়ী। মুস্তফা এ অমূলক ধারণাকে উড়িয়ে দিতে চেষ্টা করে কিন্তু সে-ও একসময় একই ধারণার বশবর্তী হয়ে নিদারুণ অনুশােচনায় আত্মহত্যা করে বসে। তবারক ভুইঞা কাথিত উপাখ্যানটি থেকে জানা যায়, কুমুরডাঙ্গা নামে একটি মহকুমা শহরের দূঃসময়ের কথা। কুমুরডাঙ্গা গঞ্জ-শহরটির বহির্যোগাযােগের একমাত্র মাধ্যম বাকাল নদীপথ। এই নদীতে চর পড়ায় কুমুরডাঙ্গার স্টিমার ঘাটটি বন্ধ হয়ে যায়। এ শহরটির জনজীবনে এক নিদারুণ ভীতির ছায়া পড়ে। কুমুরডাঙ্গাবাসীরা দিশেহারা হয়ে নানা অলৌকিক ও অতিপ্রাকৃত বিলাসে জড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ শহরটি ত্যাগ করার কথাও ভাবে। একসময়ে আবার সবই স্বাভাবিক হয়ে আসে। উপন্যাসে গঞ্জ-শহর কুমুরডাঙ্গা ও মুহাম্মদ মুস্তফার জন্মস্থান চাঁদবরণ ঘাটের পার্শ্ববর্তী গ্রামের কাহিনি সংশ্লিষ্ট হতে কাহিনির প্রধান চরিত্র মুহাম্মদ মুস্তফার জন্ম ও কর্মস্থল হিসেবে। সংক্ষেপে এই হলাে ‘কাঁদো নদী কাঁদো' উপন্যাসের কাহিনি। “এর ভাঁজে ভাঁজে রয়েছে একটি জনপদের ইতিহাস, অতিপ্রাকৃত বিশ্বাস এবং রহস্য ও অন্ধকারাচ্ছন্ন উপন্যাসের কাহিনি, ঘটনা ও চরিত্র-চিত্রণ সকল যৌক্তিকতাই নির্ভর করছে এই পরিমণ্ডলটির উপর।”

উপন্যাসের কাহিনি উপস্থাপনার ভঙ্গিতে আরেকটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ দিক হলাে, সময়-বদলের ব্যাপারটি। এ উপন্যাসের বাস্তব সময়কাল মাত্র একদিন। আরাে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে অপরাহ্ন থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত মাত্র কয়েকটি ঘণ্টা। কিন্তু উপন্যাসে বর্ণিত কাহিনির সময়ক্রম (Fictional time) মাত্র কয়েক ঘণ্টায় সীমাবদ্ধ নয়। বর্তমান থেকে তা সুদূর অতীতে প্রসারিত। স্টিমারের ডেকের উপরে বিশেষ স্থানে বিশেষ সময়ে কাহিনির সূচনা ও শেষ হয়েছে। কিন্তু কথক ‘আমি’ ও তবারক ভূইঞার বর্ণনা ও স্মৃতির অনুষঙ্গে স্থান-কালের গণ্ডি অতিক্রম করেছে কাহিনি। সঙ্গে সঙ্গে চরিত্র ও চেতনাপ্রবাহকে অনুসরণ করে স্থানকালের গণ্ডি পেরিয়ে গেছে।

সুতরাং সার্বিক আলােচনা থেকে বলা যায় যে, শুধু ব্যক্তি ও সমাজের প্রতিচ্ছবি নির্মাণেই নয়- মানুষের এবং সমাজের দ্বন্দ্বজটিল পরিবেশ নির্মাণেও সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সার্থকতার পরিচয় দিয়েছেন। তার প্রতিটি উপন্যাসে সমাজ চিত্রের পাশাপাশি ব্যক্তির এবং পরিবেশের দ্বান্দ্বিক চিত্র অঙ্কনেও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

টপিক