ভূমিকাঃ নিজের কাজের জন্য তৃতীয় পক্ষের কাছে দায়বদ্ধতাই হচ্ছে জবাবদিহিতা। মানুষের মূল্যবােধ সৃষ্টির পাশাপাশি জবাবদিহিতা সৃষ্টিতেও হিসাববিজ্ঞান ব্যাপক ভূমিকা পালন করে থাকে।
জবাবদিহিতা সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় হিসাববিজ্ঞানঃ জবাবদিহিতা সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় হিসাববিজ্ঞান যেসকল ভূমিকা পালন করে থাকে তা নিম্নরূপ-
আর্থিক বিবরণী প্রণয়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত সব পক্ষের কাছে ব্যবসায়ের সঠিক আর্থিক অবস্থা তুলে ধরা হয়। এই প্রক্রিয়ায় মূলত প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক ও ব্যবস্থাপনায় জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা প্রকাশ করে।
নির্ধারিত নিয়মনীতি যথাযথভাবে পালন করে প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে কি না এবং যথাযথভাবে শুল্ক, ভ্যাট ও কর পরিশােধ হচ্ছে কি না তা দেখার অধিকার সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের রয়েছে। যথাযথ হিসাব সংরক্ষণের মাধ্যমে এই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়।
প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি দায়িত্ব কেন্দ্রের ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়ে থাকে বিধায় বরাদ্দের চেয়ে খরচের পরিমাণ বেশি হলে তার জন্য নির্দিষ্ট দায়িত্ব কেন্দ্রকে ব্যয়ের জন্য জবাবদিহিতা করতে হয়।
একটি প্রতিষ্ঠান সাধারণত সার্বিক কাজগুলােকে বিভক্ত করে বিভিন্ন কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের মধ্যে বন্টন করে। ব্যবসায়ের হিসাব ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর কাজের মূল্যায়ন করা হয়। সুতরাং বলা যায় প্রদত্ত কাজের জবাবদিহিতা সৃষ্টিতে হিসাববিজ্ঞানের প্রয়ােজনীয়তা অপরিসীম।
পরিশেষঃ পরিশেষে বলা যায়, ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞান একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। সঠিক হিসাবরক্ষণ ছাড়া কোনাে কার্যক্রম দীর্ঘ সময় সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে না।
0 মন্তব্যসমূহ