প্রশ্নঃ হিসাববিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতাসমূহ আলোচনা কর।
ভূমিকাঃ হিসাববিজ্ঞান ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভূমিকা পালন করে থাকে। পাশাপাশি হিসাববিজ্ঞান মূল্যবােধ ও জবাবদিহিতা সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবুও বাস্তবে প্রয়ােগ করার ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞানের যথেষ্ট সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
হিসাববিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতাসমূহঃ নিচে হিসাববিজ্ঞানের কতিপয় সীমাবদ্ধতা আলােচনা করা হলাে-
বর্তমান হিসাব ব্যবস্থায় আর্থিক তথ্যাবলি স্থিতিশীল মূল্যে লিপিবদ্ধ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে মুদ্রাস্ফীতির ফলে অর্থের মূল্য নিয়মিত পরিবর্তিত হচ্ছে, যা বর্তমান হিসাব ব্যবস্থায় বিবেচনা করা হয় না।
দেশে প্রচলিত বিভিন্ন ব্যবসায়ে একতরফা দাখিলা পদ্ধতি অথবা দু'তরফা দাখিলা পদ্ধতির যেকোনাে একটি অনুসরণ করা হয়। এ পদ্ধতির ভিন্নতার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলাে তাদের হিসাবসমূহ তুলনা করতে পারে না বিধায় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় তাদের হিসাব-নিকাশের উৎকর্ষ সাধন করতে পারে না।
অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে দু'তরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুসৃত হলেও তাদের মধ্যে লিপিবদ্ধকরণের নীতির মধ্যে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। যেমন: মজুদ পণ্য মূল্যায়ন, স্থায়ী সম্পত্তির অবচয় নির্ধারণ ইত্যাদি।
প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত তথ্যসমূহ আর্থিক বিবরণীর মাধ্যমে এর ব্যবহারকারীদের কাছে সরবরাহ করা হয় বলে ব্যবসায়ের আর্থিক তথ্যাদির গােপনীয়তা রক্ষা করা সম্ভব হয় না।
বর্তমানে হিসাববিজ্ঞানকে ব্যবসায়ের ভাষা বলা হলেও দেশের অধিকাংশ মানুষ আর্থিক বিবরণী সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না রাখার কারণে হিসাব তথ্য বুঝতে পারে না।
পরিশেষঃ হিসাববিজ্ঞানের কিছু সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হলেও তা দূর করার জন্য হিসাব বিশারদগণ এবং বিভিন্ন হিসাববিজ্ঞান সংস্থা গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
0 মন্তব্যসমূহ